ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। সোমবার (১ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা-গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি। আমার একটি প্রত্যয় ছিল যে, এ দেশের মানুষের মুখের অন্ন জোগাবো। কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।

তিনি বলেন, আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করে, এটা আমার কথা না। হাইকোর্টের রায় আছে—জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ ২০০৮ সালে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা এটাই তারা শুধু জানে।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল। তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাব, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি।

এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্কমকর্তা সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। সোমবার (১ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা-গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি। আমার একটি প্রত্যয় ছিল যে, এ দেশের মানুষের মুখের অন্ন জোগাবো। কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।

তিনি বলেন, আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই, চুরির প্রয়োজন হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করে, এটা আমার কথা না। হাইকোর্টের রায় আছে—জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ ২০০৮ সালে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা এটাই তারা শুধু জানে।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল। তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাব, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি।

এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্কমকর্তা সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।