ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: পলক

নতুন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও সম্ভাবনার সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মনে করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এদিনই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন পিটার হাস।

নির্বাচনি পরিবেশ ও ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এ বৈঠকের গুরুত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নে পলক বলেন, ‘উনার যে বিভিন্ন কথা, আলোচনা বা বিষয়বস্তু, এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে-বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার ভবিষ্যতে আমাদের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সম্ভাবনার সম্পর্কটা এটা আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে, আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’

‘আগামী ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প, সেটি পূরণের জন্য কিন্তু আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বের যে হাত বাড়িয়েছি, সেখানে আমেরিকার সাথেও আমাদের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসাথে মিলে কাজ করব, দুদেশের জনগণের জন্য, সারাবিশ্বের জন্য। আমার কাছে আজকের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানো, বাংলাদেশে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় বৈঠকে আলোচনায় এসেছে বলে জানান তিনি।

সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে ওই প্রশ্নে পলক বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের নতুন সরকারের, নতুন মন্ত্রিসভার একজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সাথে একটি দেশের একজন রাষ্ট্রদূত দেখা করা এবং তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, এগুলো নিয়ে আলোচনা করার মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে।’

‘এবং আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সাথে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে আজকের এই বৈঠক থেকে সেটাই মনে হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো খুব আগ্রহী।’

নির্বাচনি পরিবেশের সমালোচনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের যেটা কথা হয়েছে, আমাদের নতুন সরকার, নতুন একটা ভিশন নিয়ে আমরা শুরু করছি, আমার সাথে এই নতুন বিষয়গুলো নিয়েই কথা হয়েছে।

‘এবং ভবিষ্যৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কীভাবে একসাথে নলেজ পার্টনার হয়ে কাজ করতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। এর বাইরে অন্য কিছু নিয়ে আলাপ হয়নি।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: পলক

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

নতুন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও সম্ভাবনার সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মনে করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এদিনই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন পিটার হাস।

নির্বাচনি পরিবেশ ও ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এ বৈঠকের গুরুত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নে পলক বলেন, ‘উনার যে বিভিন্ন কথা, আলোচনা বা বিষয়বস্তু, এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে-বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার ভবিষ্যতে আমাদের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সম্ভাবনার সম্পর্কটা এটা আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে, আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’

‘আগামী ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প, সেটি পূরণের জন্য কিন্তু আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বের যে হাত বাড়িয়েছি, সেখানে আমেরিকার সাথেও আমাদের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসাথে মিলে কাজ করব, দুদেশের জনগণের জন্য, সারাবিশ্বের জন্য। আমার কাছে আজকের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানো, বাংলাদেশে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় বৈঠকে আলোচনায় এসেছে বলে জানান তিনি।

সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে ওই প্রশ্নে পলক বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের নতুন সরকারের, নতুন মন্ত্রিসভার একজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সাথে একটি দেশের একজন রাষ্ট্রদূত দেখা করা এবং তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, এগুলো নিয়ে আলোচনা করার মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে।’

‘এবং আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সাথে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে আজকের এই বৈঠক থেকে সেটাই মনে হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো খুব আগ্রহী।’

নির্বাচনি পরিবেশের সমালোচনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের যেটা কথা হয়েছে, আমাদের নতুন সরকার, নতুন একটা ভিশন নিয়ে আমরা শুরু করছি, আমার সাথে এই নতুন বিষয়গুলো নিয়েই কথা হয়েছে।

‘এবং ভবিষ্যৎ একটা উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কীভাবে একসাথে নলেজ পার্টনার হয়ে কাজ করতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। এর বাইরে অন্য কিছু নিয়ে আলাপ হয়নি।’