ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের মুখে নেই হাসি, ধান গাছে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। মাজরা পোকায় আক্রান্ত ধান ক্ষেত মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে ফলন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং বা পরামর্শ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

সরেজমিনে উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর, মাধখলা সিদলা ইউনিয়নের বালুয়াপুকুর পাড় নামা সিদলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। হোসেনপুর উপজেলার মাজরা পোকার আক্রমণে ফলন্ত ধান গাছগুলো মরা ও সাদাবর্ণ ধারণ করেছে। অনেক কৃষক দ্রুত ঔষধ দিয়ে তাদের ফসল কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেকের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পথে।

দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক বোরহান মিয়া শফিকুল ইসলাম ও গোলাপ মিযা, দুলাল মিয়া জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন। তারা জানান, চলতি বছর প্রায় ৮ কাটা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৪৯ ধানের চাষ করেছি। অতিরিক্ত রোদ বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান গাছের চারা তেমন ভাল হয়নি এখন শুরু হয়েছে মাজরা পোকার আক্রমণ। এবার যে হারে মাজরা পোকা ধরেছে, আগে কখনও এমনটা দেখা যায়নি।

কৃষকরা জানান মাজরা পোকার আক্রমণে ফসল ধ্বংসের মুখে। ফলন নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন কৃষক। এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির জানান, মাঠে আমাদের নজরদারি আছে চারা রোপণের আগে দানাদার বিষ প্রয়োগ করতে হয়। অনেক কৃষক তা করে নাই বিভিন্ন কোম্পানির বিন আছে এগুলো জমিতে দিতে হবে আমাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদেরকে মনিটরিং এর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কৃষকদের পরামর্শ বিষয়ে বলেন আমরা তাদের পার্চিং পদ্ধতিতে ক্ষেতের পোকা দমনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমিতে কীটনাশক স্প্রে করারও পরামর্শ দিচ্ছি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন আমরা কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। উল্লেখ্য এবছর হোসেনপুরে ৮হাজার, চার শত ৭৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কৃষকের মুখে নেই হাসি, ধান গাছে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

আপডেট টাইম : ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। মাজরা পোকায় আক্রান্ত ধান ক্ষেত মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে ফলন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং বা পরামর্শ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

সরেজমিনে উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর, মাধখলা সিদলা ইউনিয়নের বালুয়াপুকুর পাড় নামা সিদলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। হোসেনপুর উপজেলার মাজরা পোকার আক্রমণে ফলন্ত ধান গাছগুলো মরা ও সাদাবর্ণ ধারণ করেছে। অনেক কৃষক দ্রুত ঔষধ দিয়ে তাদের ফসল কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেকের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পথে।

দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক বোরহান মিয়া শফিকুল ইসলাম ও গোলাপ মিযা, দুলাল মিয়া জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন। তারা জানান, চলতি বছর প্রায় ৮ কাটা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৪৯ ধানের চাষ করেছি। অতিরিক্ত রোদ বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান গাছের চারা তেমন ভাল হয়নি এখন শুরু হয়েছে মাজরা পোকার আক্রমণ। এবার যে হারে মাজরা পোকা ধরেছে, আগে কখনও এমনটা দেখা যায়নি।

কৃষকরা জানান মাজরা পোকার আক্রমণে ফসল ধ্বংসের মুখে। ফলন নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন কৃষক। এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির জানান, মাঠে আমাদের নজরদারি আছে চারা রোপণের আগে দানাদার বিষ প্রয়োগ করতে হয়। অনেক কৃষক তা করে নাই বিভিন্ন কোম্পানির বিন আছে এগুলো জমিতে দিতে হবে আমাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদেরকে মনিটরিং এর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কৃষকদের পরামর্শ বিষয়ে বলেন আমরা তাদের পার্চিং পদ্ধতিতে ক্ষেতের পোকা দমনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমিতে কীটনাশক স্প্রে করারও পরামর্শ দিচ্ছি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন আমরা কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। উল্লেখ্য এবছর হোসেনপুরে ৮হাজার, চার শত ৭৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।