ঢাকা , শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে বন্যার পানিতে শিশুর মৃত্যু

শেরপুর নালিতাবাড়ীতে নানার বাড়িতে কুলখানির দাওয়াতে এসে বন্যার পানিতে ডুবে জিমি আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়া জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় থাকা বন্যার পানিতে তার মৃত্যু হয়।। Google news

মারা যাওয়া জিমি শেরপুর সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের চান্দেরনগর কড়ইতলা এলাকার জামান মিয়ার মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার সে তার মামার সঙ্গে ঘোনাপাড়া গ্রামে আসে। তার নানার নাম নুরালী মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, কুলখানির দাওয়াতের জন্য গত বৃহস্পতিবার জিমিকে নানার বাড়িতে আনে তার এক মামা। গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কুলখানি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পানি নেমে গেলে পরে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে জিমি তার নানার বাড়িতে ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১১টার দিকে জিমি তার ছোট মামা ফাহিমের (৯) সঙ্গে নানার বাড়ির সামনে মসজিদের পাশের রাস্তায় খেলা করছিল। এসময় জিমি ও ফাহিম রাস্তায় থাকা বন্যার পানিতে পড়ে যায়। জিমি পানির গভীরে তলিয়ে গেলেও ফাহিমের শরীরের কিছু অংশ ভেসে ছিল। পরে স্থানীয়রা বুঝতে পেরে ফাহিমকে উদ্ধার করে। পরে ফাহিমের দেওয়া তথ্যে স্থানীয়রা পানিতে নেমে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী খোঁজাখুঁজি করে জিমিকে উদ্ধার করে। স্বজনরা নালিতাবাড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, পানিতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শেরপুরে বন্যার পানিতে শিশুর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুর নালিতাবাড়ীতে নানার বাড়িতে কুলখানির দাওয়াতে এসে বন্যার পানিতে ডুবে জিমি আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়া জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় থাকা বন্যার পানিতে তার মৃত্যু হয়।। Google news

মারা যাওয়া জিমি শেরপুর সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের চান্দেরনগর কড়ইতলা এলাকার জামান মিয়ার মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার সে তার মামার সঙ্গে ঘোনাপাড়া গ্রামে আসে। তার নানার নাম নুরালী মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, কুলখানির দাওয়াতের জন্য গত বৃহস্পতিবার জিমিকে নানার বাড়িতে আনে তার এক মামা। গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কুলখানি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পানি নেমে গেলে পরে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে জিমি তার নানার বাড়িতে ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১১টার দিকে জিমি তার ছোট মামা ফাহিমের (৯) সঙ্গে নানার বাড়ির সামনে মসজিদের পাশের রাস্তায় খেলা করছিল। এসময় জিমি ও ফাহিম রাস্তায় থাকা বন্যার পানিতে পড়ে যায়। জিমি পানির গভীরে তলিয়ে গেলেও ফাহিমের শরীরের কিছু অংশ ভেসে ছিল। পরে স্থানীয়রা বুঝতে পেরে ফাহিমকে উদ্ধার করে। পরে ফাহিমের দেওয়া তথ্যে স্থানীয়রা পানিতে নেমে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী খোঁজাখুঁজি করে জিমিকে উদ্ধার করে। স্বজনরা নালিতাবাড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, পানিতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।