ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিকেলে জানাজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ৩ দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ভারত থেকে এলো ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে ২৯ দিনে ৯৬৯ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়েছে।

দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৩ নভেম্বর চালের প্রথম চালান আসে এই বন্দরে। এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির প্রভাব এখনো সাতক্ষীরার চালের বাজারগুলোতে পড়েনি।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে চলতি অর্থবছরের ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা। আমদানিকৃত এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল।

ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি গাড়িতে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ টন। সরকার যেহেতু চালের ওপর ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে যার জন্য এখানে কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি।

উত্তরবঙ্গের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকে অন্যান্য বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। তবে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল আমদানি শুরু হয়েছে। এখনো তেমন প্রভাব পড়তে শুরু হয়নি দেশের চালের বাজারগুলোতে।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, চিকন আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা এবং মোটা জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে ভারতীয় চাল আমদানিতে দেশি চালের বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সাতক্ষীরার চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরুর কারণে শিগগিরই চালের বাজার কমতির দিকে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ভারত থেকে এলো ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল

আপডেট টাইম : ১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে ২৯ দিনে ৯৬৯ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়েছে।

দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৩ নভেম্বর চালের প্রথম চালান আসে এই বন্দরে। এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির প্রভাব এখনো সাতক্ষীরার চালের বাজারগুলোতে পড়েনি।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে চলতি অর্থবছরের ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা। আমদানিকৃত এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল।

ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি গাড়িতে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ টন। সরকার যেহেতু চালের ওপর ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে যার জন্য এখানে কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি।

উত্তরবঙ্গের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকে অন্যান্য বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। তবে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল আমদানি শুরু হয়েছে। এখনো তেমন প্রভাব পড়তে শুরু হয়নি দেশের চালের বাজারগুলোতে।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, চিকন আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা এবং মোটা জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে ভারতীয় চাল আমদানিতে দেশি চালের বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সাতক্ষীরার চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরুর কারণে শিগগিরই চালের বাজার কমতির দিকে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।