ঢাকা , বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যার পর দুই বাংলাদেশিকে ফেলে গেল ‘বিএসএফ

যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে দুই বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি। পুলিশ মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আজ বুধবার দুপুরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার দীঘিরপাড় গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে সাবু হোসেন (২৮) এবং একই থানার কাগজপুকুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত ইউনুস মোড়ের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সবাই চোরাকারবারি। ভারত থেকে পণ্য এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত রাতে চোরাই পণ্য আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হন তারা। পরে বিএসএফের নির্যাতনে মারা যান তারা। রাতের কোনো এক সময় বিএসএফ সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ সীমান্তে নিহতদের ফেলে রেখে যায়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস এবং বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, খবর পেয়ে শার্শার পাঁচ ভুলোট এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতদের নির্যাতন করে হত্যা করাহয়েছে। মরদেহের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শার্শার পাঁচ ভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে দুটি মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা ও পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

হত্যার পর দুই বাংলাদেশিকে ফেলে গেল ‘বিএসএফ

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে

যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে দুই বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি। পুলিশ মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আজ বুধবার দুপুরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার দীঘিরপাড় গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে সাবু হোসেন (২৮) এবং একই থানার কাগজপুকুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত ইউনুস মোড়ের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সবাই চোরাকারবারি। ভারত থেকে পণ্য এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত রাতে চোরাই পণ্য আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হন তারা। পরে বিএসএফের নির্যাতনে মারা যান তারা। রাতের কোনো এক সময় বিএসএফ সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ সীমান্তে নিহতদের ফেলে রেখে যায়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস এবং বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, খবর পেয়ে শার্শার পাঁচ ভুলোট এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতদের নির্যাতন করে হত্যা করাহয়েছে। মরদেহের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শার্শার পাঁচ ভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে দুটি মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা ও পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।