ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ১২৬ জুলাই ঘোষণাপত্র’ বিষয়ক কর্মসূচি: কুমিল্লায় হাসনাত, সারজিস যাবেন নরসিংদী নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল খাল পাড় থেকে উদ্ধার বোরো ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে ৭ দিনব্যাপী জেলাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু শর্ষে ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান সব পক্ষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের একান্ত বৈঠক সীমান্ত পেরিয়ে মৈত্রী ! দিল্লি কি অবশেষে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে চাইছে মোংলায় ১১ কেজি হরিণের মাংসসহ ৬ চোরাচালানকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

১৯ কোটি টাকার কাজ পেতে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষ ভাঙচুর

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালককে (পিডি) লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ঠিকাদার ও তাদের সহযোগীরা বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত ওই কর্মকর্তার কক্ষে এই ঘটনা ঘটায়। এ সময় তারা ওই কর্মকর্তার টেবিল ও ফ্যানসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে হামলার প্রমাণও পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী ওই প্রকল্প পরিচালকের নাম শহিদুর রহমান। তিনি বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (চলতি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ও ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক। সম্প্রতি এই প্রকল্পে ১৯ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দিয়েছেন।

প্রকল্পের দুই-তিনজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতার ছেলে সাকিব ও তার আরেক ভাই সবুজসহ প্রায় ২০-২৫ জন রবিবার সন্ধ্যায় পিডি স্যারের কক্ষে এসে হইচই শুরু করে। একপর্যায়ে তারা একটি ঠিকাদারি লাইসেন্সে অনেকগুলো কাজ চায়। কিন্তু স্যার নিয়ম মেনেই কাজগুলো দেওয়া হবে বলে জানালে তারা স্যারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে স্যারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্যারের সামনে থাকা টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলে। পরে সেই কাঁচ নিয়েই চলে যায়। এ সময় কক্ষে থাকা ফ্যানসহ বেশ কিছু আসবাপত্রও ভাঙচুর করে তারা।

আজ সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে অফিসে তার নিজের চেয়ারে বসে আছেন। এ সময় তার কর্মচারীরা টেবিলের কাচ ভেঙে তা নিয়ে গেছে বলে জানান। ভাঙা একটি ওয়াল ফ্যান দেখিয়ে বলেন, এটাও তারা ভাঙচুর করেছে।

সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায় পুলিশ। মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, তিনি ভুক্তভোগী প্রকল্প কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রকল্প কর্মকর্তা পুলিশকে জানিয়েছেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ঢাকা থেকে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী প্রকল্প পরিচালক শহিদুর রহমান বলেন, ‘টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু এখনো রেজাল্টই হয়নি। এরই মধ্যে কাজ পাবে না মনে করে কয়েকজন ছেলে এসে হইচই করেছে। কিছু ভাঙচুর করেছে। তিনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি হালকা ঘটনা হলেও দুঃখজনক। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এ ব্যাপারে আলোচনা করা হচ্ছে। আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে

১৯ কোটি টাকার কাজ পেতে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষ ভাঙচুর

আপডেট টাইম : ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালককে (পিডি) লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ঠিকাদার ও তাদের সহযোগীরা বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত ওই কর্মকর্তার কক্ষে এই ঘটনা ঘটায়। এ সময় তারা ওই কর্মকর্তার টেবিল ও ফ্যানসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে হামলার প্রমাণও পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী ওই প্রকল্প পরিচালকের নাম শহিদুর রহমান। তিনি বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (চলতি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ও ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক। সম্প্রতি এই প্রকল্পে ১৯ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দিয়েছেন।

প্রকল্পের দুই-তিনজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতার ছেলে সাকিব ও তার আরেক ভাই সবুজসহ প্রায় ২০-২৫ জন রবিবার সন্ধ্যায় পিডি স্যারের কক্ষে এসে হইচই শুরু করে। একপর্যায়ে তারা একটি ঠিকাদারি লাইসেন্সে অনেকগুলো কাজ চায়। কিন্তু স্যার নিয়ম মেনেই কাজগুলো দেওয়া হবে বলে জানালে তারা স্যারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে স্যারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্যারের সামনে থাকা টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলে। পরে সেই কাঁচ নিয়েই চলে যায়। এ সময় কক্ষে থাকা ফ্যানসহ বেশ কিছু আসবাপত্রও ভাঙচুর করে তারা।

আজ সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি অনেকটা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে অফিসে তার নিজের চেয়ারে বসে আছেন। এ সময় তার কর্মচারীরা টেবিলের কাচ ভেঙে তা নিয়ে গেছে বলে জানান। ভাঙা একটি ওয়াল ফ্যান দেখিয়ে বলেন, এটাও তারা ভাঙচুর করেছে।

সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায় পুলিশ। মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, তিনি ভুক্তভোগী প্রকল্প কর্মকর্তার কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রকল্প কর্মকর্তা পুলিশকে জানিয়েছেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ঢাকা থেকে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী প্রকল্প পরিচালক শহিদুর রহমান বলেন, ‘টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু এখনো রেজাল্টই হয়নি। এরই মধ্যে কাজ পাবে না মনে করে কয়েকজন ছেলে এসে হইচই করেছে। কিছু ভাঙচুর করেছে। তিনি তাদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি হালকা ঘটনা হলেও দুঃখজনক। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এ ব্যাপারে আলোচনা করা হচ্ছে। আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হবে।