কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সাবেক সেনা সদস্যের বাড়িতে ডাকাতদল নগদ সাড়ে ৫লাখ টাকাসহ সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে কিশামত পূনকর গ্রামের রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানির পর এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানান, মৃত ছফর উদ্দিনের ছেলে আ. রশিদ মিয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য (৭০) রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ পাশের একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে ৭/৮ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ওই বাড়ির ওয়াল টপকে উত্তর পশ্চিম রুমের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার স্ত্রী টের পেলে আ. রশিদ মিয়াকে ডাকাডাকি করলে ডাকাতরা তাদের মুখ চেপে ধরে। পরে গামছা দিয়ে তাদের হাত পা বেঁধে আলমারীর চাবি নেন। এরপর তারা আলমারী ও ড্রেসিংয়ের ড্রয়ারে রাখা নগদ ৫লাখ ৪৫হাজার ৫’শ টাকা এবং সাড়ে ৫ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি এন্ডোয়েড ফোন ও মূল্যবান কয়েকটি শাড়ি কাপড় নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
এ সময় কয়েকজন বাড়ির মালিক আ: রশিদ মিয়ার মাথায় পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে বলেন, বিষয়টি যেন কাউকে না বলা হয়। জানাজানি করলে পরবর্তীতে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ আ: রশিদ জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ এই পরিবার আরও জানান, গত সোমবার সকাল থেকে সারাদিন বাড়ির সবার ঘুম পাচ্ছিল। আমিও তন্দ্রায় ছিলাম। সম্ভবত বাড়ির খাবারে কেউ কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল। আর রাতে ডাকাতি হয়। ঘটনার দিন বাড়িতে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী এবং তার ভাতিজি জান্নাতি বেগম ছাড়া আর কেউ ছিল না। ডাকাতরা তার ভাতিজির গলার হারও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটননাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তবে তদন্তকারী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই বাবুল বলেন, ‘এটা চুরি। ডাকাতি হলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করবে। মারধর করবে। এগুলোর কোনটিও নেই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল আলম জানান, পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।