ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাদিয়ার মন্তব্যে বাংলাদেশীরা ‘অপমানিত’

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাদিয়া হুসেইন ব্রিটেনে বেশ পরিচিত নাম। ব্রিটেনের রানি এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এক নামে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাদিয়াকে চেনে।

কিন্তু বাংলাদেশে এই নাম তেমন একটা পরিচিত নয়।
২০১৫ সালে ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নাদিয়া হুসেইন।
কয়েকদিন আগে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাদিয়া বলেন, বাংলাদেশে চেয়ারে বসে খাওয়ার কোনো সংস্কৃতি ছিল না। তার বাবা সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বলে তাদের বাসায় কখনো ডাইনিং টেবিল (খাবারের টেবিল) ছিল না।
নাদিয়া আরো মন্তব্য করেন বাংলাদেশী খাবারের পরে কখনো ডেসার্টের সংস্কৃতি ছিল না।

নাদিয়া হুসেইনের এ মন্তব্যে অনেকের মাঝে ক্ষোভ তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে এ বিষয়টিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কেউ কেউ বলছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হয়ে নাদিয়া বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা না নিয়েই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।
অনেকে বলছেন এ ধরনের মন্তব্যে বাংলাদেশী হিসেবে তারা ‘অপমানিত’ বোধ করছেন।
নাদিয়া হুসেইনের বাবা বাংলাদেশের সিলেট থেকে লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হয়েছেন।


ফেসবুকে শাহানা সিদ্দিকী লিখেছেন, মূল খাবারের পরে ডেসার্টের যে সংস্কৃতি সেটি সিলেটে বেশ ভালোভাবেই আছে। এক্ষেত্রে ‘চালের ফিরনির’ কথা উল্লেখ করেন শাহানা সিদ্দিকী।
ফেসবুকে ফারহানা রহমান মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে বলার আগে বাংলাদেশের খাবারে সম্পর্কে নাদিয়ার কিছুটা গবেষণা করা উচিত ছিল।
নাদিয়া হুসেইনের এ মন্তব্য বাংলাদেশী ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সে বিষয়টি তুলেছে ব্রিটেনের মেইল অনলাইনে ছাপা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নাদিয়ার মন্তব্যে বাংলাদেশীরা ‘অপমানিত’

আপডেট টাইম : ০৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাদিয়া হুসেইন ব্রিটেনে বেশ পরিচিত নাম। ব্রিটেনের রানি এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই এক নামে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাদিয়াকে চেনে।

কিন্তু বাংলাদেশে এই নাম তেমন একটা পরিচিত নয়।
২০১৫ সালে ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নাদিয়া হুসেইন।
কয়েকদিন আগে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাদিয়া বলেন, বাংলাদেশে চেয়ারে বসে খাওয়ার কোনো সংস্কৃতি ছিল না। তার বাবা সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বলে তাদের বাসায় কখনো ডাইনিং টেবিল (খাবারের টেবিল) ছিল না।
নাদিয়া আরো মন্তব্য করেন বাংলাদেশী খাবারের পরে কখনো ডেসার্টের সংস্কৃতি ছিল না।

নাদিয়া হুসেইনের এ মন্তব্যে অনেকের মাঝে ক্ষোভ তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে এ বিষয়টিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কেউ কেউ বলছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হয়ে নাদিয়া বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা না নিয়েই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।
অনেকে বলছেন এ ধরনের মন্তব্যে বাংলাদেশী হিসেবে তারা ‘অপমানিত’ বোধ করছেন।
নাদিয়া হুসেইনের বাবা বাংলাদেশের সিলেট থেকে লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হয়েছেন।


ফেসবুকে শাহানা সিদ্দিকী লিখেছেন, মূল খাবারের পরে ডেসার্টের যে সংস্কৃতি সেটি সিলেটে বেশ ভালোভাবেই আছে। এক্ষেত্রে ‘চালের ফিরনির’ কথা উল্লেখ করেন শাহানা সিদ্দিকী।
ফেসবুকে ফারহানা রহমান মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে বলার আগে বাংলাদেশের খাবারে সম্পর্কে নাদিয়ার কিছুটা গবেষণা করা উচিত ছিল।
নাদিয়া হুসেইনের এ মন্তব্য বাংলাদেশী ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সে বিষয়টি তুলেছে ব্রিটেনের মেইল অনলাইনে ছাপা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি