গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষ জয়ী হওয়ায় যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন দেশটির লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
শুক্রবার সকালে গণভোটের ফল প্রকাশের পর নিজের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই আইনপ্রণেতা।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৫২ শতাংশ, আর থাকার পক্ষে
পড়ে ৪৮ শতাংশ ভোট।
এর মধ্যদিয়ে ইউরোপের দেশটির জনগণের দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে গণভোট; এ কারণে একে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ‘ব্রেক্সিট’।
ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারণায় থাকা টিউলিপ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এ মতামতকে আমি শ্রদ্ধা করি এবং একইসঙ্গে ক্যামডেন ও ব্রেন্টের যেসব প্রচারকর্মী ইইউতে থাকার পক্ষে লড়াই চালিয়েছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এই ফলে তাদের যে বেদনা তা আমি বুঝি। কিন্তু এই তিক্ত প্রচারণা আমাদের সমাজে যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে আমাদের অবশ্যই তা প্রশমনের দিকে নজর দিতে হবে।
এ প্রেক্ষাপটে নিকট ভবিষ্যতে ব্রিটিশ সমাজের বাঁক বদলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের সঙ্গে লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী ও রুপা হকও ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারণায় ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।