দেশের ভেতরে কিছু কমিশনভোগীর স্বার্থে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বার্থে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বুধবার বিকেল পাঁচটায় তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে একটি পদযাত্রা মিছিল শাহবাগ থেকে কাঁটাবন হয়ে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা মিছিল থেকে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন বাংলাদেশ রক্ষার আন্দোলন, ভবিষ্যৎ রক্ষার আন্দোলন। বিদেশি শাসকগোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সরকার এগুলো করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ভারতকে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। চীনকে দেওয়া হচ্ছে বাঁশখালী ধ্বংস করে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাশিয়াকে দেওয়া হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর আমেরিকাকে দেশের বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্পদের ব্লকগুলো দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে দেশের মানুষের মধ্যে সুন্দরবন রক্ষার মতো দায়িত্ববোধ তৈরি হয় না, সে দেশে জঙ্গি, সাম্প্রদায়িকতা ও সহিংসতা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। জাতীয় জাগরণ ছাড়া সুন্দরবন রক্ষা সম্ভব নয়। এটি রক্ষা করা না গেলে দেশে আরও বিপর্যয় আসবে।
মানুষকে আরও সক্রিয়, সজাগ ও প্রতিবাদে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, যে দেশের মানুষের সুন্দরবন রক্ষার মতো সংবেদনশীলতা বা দায়িত্ববোধ তৈরি হয় না, সে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সহিংসতা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে দেশে এই সংবেদনশীলতা তৈরি হবে, সে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মানুষের ওপর মানুষের নিপীড়নের ব্যবস্থা জায়গা করতে পারবে না।
কালের কণ্ঠ