ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য দেন।

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস চেষ্টায় দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ।

‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এ স্লোগানে এবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে বলে জানান তিনি।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার কার্যক্রম এক সময় বন্ধ ছিল জানিয়ে ফিজার বলেন, এই সরকার ২০১৪ সালে নিরক্ষরদের স্বাক্ষরজ্ঞান করতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে ৪৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার কথা।

এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে ফিজার বলেন, এটা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি, প্রসেস চলছে। আমরা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালাচ্ছি। আমাদের ৭০০ স্কুলে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণি খুলেছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে থাকা বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিগুলো ছেড়ে দিলে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হবে বলে জানান ফিজার।

সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলতে থাকবে বলেও জানান গণশিক্ষামন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ ছাড়াও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ

আপডেট টাইম : ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য দেন।

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস চেষ্টায় দেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ।

‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এ স্লোগানে এবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে বলে জানান তিনি।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার কার্যক্রম এক সময় বন্ধ ছিল জানিয়ে ফিজার বলেন, এই সরকার ২০১৪ সালে নিরক্ষরদের স্বাক্ষরজ্ঞান করতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে ৪৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার কথা।

এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে ফিজার বলেন, এটা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি, প্রসেস চলছে। আমরা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালাচ্ছি। আমাদের ৭০০ স্কুলে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণি খুলেছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে থাকা বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিগুলো ছেড়ে দিলে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হবে বলে জানান ফিজার।

সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলতে থাকবে বলেও জানান গণশিক্ষামন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ ছাড়াও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।