কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে আমার ভোট আমি দেব, জনগণের ভোটও আমি দেব।
তিনি বলেন, এটা যেন মামার বাড়ি আবদার। যেভাবে ভোটারের ভোটাধিকার নিয়ে গেছে তাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে না, ভোট দেয় শয়তানরা। সেই শয়তানের হাত ভেঙে দিয়ে তাদের ভোট তারা দেবে, আমাদের ভোট আমরা দেব।
শনিবার বিকেলে জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশ আজ শান্তিতে নেই।
এদেশে মা-বোনের ইজ্জত নেই। শিশুরা পর্যন্ত নিরাপদ নেই। কুমিল্লা তনু হত্যার দেড় মাস পেরিয়েগলেও তার কোনো কুলকিনারা হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ খুন হয়েছে। যে খুনের দায়ে টাঙ্গাইলের খান পরিবার আজ খানখান হয়ে গেছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ না করলে আজকে যারা জিলিকপাড়ে আওয়ামী লীগ তারা তো মাটির নিচে থাকতো। এত জিলিক পাড়ো ক্যান। বঙ্গবন্ধু মারা যাবার পর কি অবস্থা ছিল? কাল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে চলে গেলে তোমাদের মতো আওয়ামী লীগ পুংলি নদীতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের হাহাকারে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আকাশের বিদ্যুৎ চমকানি গোনা যায়। কিন্ত কতবার বিদ্যুৎ যায় আসে সেটা গোনা যায় না। সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না আবার বিল আসার সময় এক হাজার টাকার বিল আসে ৬ হাজার টাকা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ সমস্ত বেলকিবাজি বন্ধ করুন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কালিহাতীসহ সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। তা নাহলে বিদ্যুতের জন্যই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নেতা আব্দুল বাছেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও কালিহাতী উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি হাসমত আলী নেতা প্রমুখ।