বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীদের জন্য সুসংবাদ। নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী ইউপির বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামে এবার ফলেছে ক্যান্সার প্রতিষেধক ফল করোসল। করোসল অনেক ক্ষেত্রেই ক্যামো থ্যারাপির কাজ করে থাকে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আলমাস রাইসুল গনির বাড়িতে দুই একর জমিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা মানবদেহের উপকারি শতাধিক ঔষধি ফলজ গাছ লাগিয়েছেন। করোসল গাছটি ২০১১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার আইভরিকোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়। করোসল ওয়েব সাইটে ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে এ ফলের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের বহুবিদ মতামত পাওয়া যায়।
অনেক দেশেই এ ফলটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত। পাঁচ বছর বয়সী ছয়টি গাছের মধ্যে একটি গাছে একটি ফল ফলেছে যার আনুমানিক ওজন ২৫০ গ্রাম। বাগানটিতে আবু কদু, কোরঞ্জা, কদবেল, আবুথাম, সানফল, অ্যাগফ্রুট, মেংগ্যাসটিন, চেরি, শফেদা, শরিফা, আলু বোখরা, কদবেল, ফসলা, কমলাসহ দুই শতাধিক ফলের গাছ রয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে করোসল চাষ করলে ক্যান্সার রোগীদের ক্যামো থ্যারাপির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে না। বর্তমানে ওই বাগানের ২৫০ গ্রাম ওজনের করোসল ফলটির মূল্য ৪৫ হাজার বলে জানা যায়। দেশে ক্যান্সার রোগীদের জন্য আরো সুখবর হচ্ছে, বালু মাটিতে করোসলের ফলন হচ্ছে।
আলমাস রাইসুল গনি বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকরির কারণে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছিল। যে দেশেই যেতাম সেখানেই খুঁজে নিতাম মানবদেহের জন্য উপকারী বৃক্ষ এবং তা সংগ্রহ করে বৃক্ষের এ বাগান তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানবদেহের উপকারি ঔষধি গাছের বাগানটি বাণিজ্যিক পরিকল্পনায় লাগানো হয়নি।
নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে ক্যামোথ্যারাপির জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেলে-দোঁআশ মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে করোসল চাষে ভালো ফল আসবে।