ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২ সদস্যের বাড়ির বিদ্যুত বিল ১২৮ কোটি রুপি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুতের লাইন। অথচ বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ রুপি। এমন বিল দেখে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম হতভম্ব। তিনি এ বিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাকে বলা হচ্ছে, আগে বিল পরিশোধ করতে হবে। তারপরই তার বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয়া হবে।

হাপুরের চামরি গ্রামে বসবাস করেন শামীম ও তার স্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেন, ভৌতিক এই বিল নিয়ে তিনি বিদ্যুত বিভাগে গিয়েছেন তাদের ভুল সংশোধন করানোর জন্য। কিন্তু তাকে পাত্তাই দেয়া হয় নি। বলা হয়েছে বিল পরিশোধ করতে। তিনি বলেন, আমার কথায় কেউ কর্ণপাতই করে নি। এখন আমি কিভাবে এত বড় অংকের বিদ্যুত বিল পরিশোধ করবো? শামীম দাবি করেন, মনে হয়, পুরো হাপুর এলাকার বিদ্যুতের বিল আমার একাউন্টে দেখিয়েছে। এ নিয়ে আমি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে দৌড়াচ্ছি। কেউ আমার কথা শুনছে না।

তবে বিদ্যুত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বলেছেন, এটা বড় কোনো বিষয় নয়। যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ নিশ্চিত করে বলেন, শামীম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই বিল নিয়ে গেলে তা সংশোধন করে দেয়া হবে। কিন্তু শামীম বলছেন, তিনি বার বার বিদ্যুত অফিসে গিয়েছেন। তাকে বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এমন ঘটনা এবারই নতুন নয়। জানুয়ারিতে উত্তর প্রদেশের কান্নাউজের এক বাসিন্দার নামে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছিল ২৩ কোটি রুপি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

২ সদস্যের বাড়ির বিদ্যুত বিল ১২৮ কোটি রুপি

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুতের লাইন। অথচ বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ রুপি। এমন বিল দেখে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম হতভম্ব। তিনি এ বিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাকে বলা হচ্ছে, আগে বিল পরিশোধ করতে হবে। তারপরই তার বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয়া হবে।

হাপুরের চামরি গ্রামে বসবাস করেন শামীম ও তার স্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেন, ভৌতিক এই বিল নিয়ে তিনি বিদ্যুত বিভাগে গিয়েছেন তাদের ভুল সংশোধন করানোর জন্য। কিন্তু তাকে পাত্তাই দেয়া হয় নি। বলা হয়েছে বিল পরিশোধ করতে। তিনি বলেন, আমার কথায় কেউ কর্ণপাতই করে নি। এখন আমি কিভাবে এত বড় অংকের বিদ্যুত বিল পরিশোধ করবো? শামীম দাবি করেন, মনে হয়, পুরো হাপুর এলাকার বিদ্যুতের বিল আমার একাউন্টে দেখিয়েছে। এ নিয়ে আমি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে দৌড়াচ্ছি। কেউ আমার কথা শুনছে না।

তবে বিদ্যুত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বলেছেন, এটা বড় কোনো বিষয় নয়। যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ নিশ্চিত করে বলেন, শামীম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই বিল নিয়ে গেলে তা সংশোধন করে দেয়া হবে। কিন্তু শামীম বলছেন, তিনি বার বার বিদ্যুত অফিসে গিয়েছেন। তাকে বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এমন ঘটনা এবারই নতুন নয়। জানুয়ারিতে উত্তর প্রদেশের কান্নাউজের এক বাসিন্দার নামে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছিল ২৩ কোটি রুপি।