ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

রেললাইন থেকে হিসাব কর্মকর্তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবকের নাম মুরাদ হোসেন (৩৩)। তিনি পদ্মা গ্রুপের নির্বাহী হিসাব কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ। আজ শনিবার তার ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক (এসআই) রসো বনিক। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সংবাদ পাই, কারওয়ান বাজার এলাকায় এক লোক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করি।’

ওই এসআই আরও বলেন, ‘তার মাথা, দুই হাত, দুই পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে তার লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে, নাকি অন্য কোনোভাবে মৃত্যু হয়েছে-ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

মৃতের চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের লতিফ মোল্লার ছেলে মুরাদ। তিনি পদ্মা গ্রুপে চাকরি করতেন। তিনি মগবাজার এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।’

তিনি বলেন, ‘মুরাদ একজন সৎ ছেলে। তার খণ্ডিত মৃতদেহ দেখে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। এটা ট্রেনে কাটা তো নাও হতে পারে, তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে রেললাইনে ফেলে যেতে পারে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

রেললাইন থেকে হিসাব কর্মকর্তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবকের নাম মুরাদ হোসেন (৩৩)। তিনি পদ্মা গ্রুপের নির্বাহী হিসাব কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ। আজ শনিবার তার ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক (এসআই) রসো বনিক। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সংবাদ পাই, কারওয়ান বাজার এলাকায় এক লোক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করি।’

ওই এসআই আরও বলেন, ‘তার মাথা, দুই হাত, দুই পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে তার লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে, নাকি অন্য কোনোভাবে মৃত্যু হয়েছে-ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

মৃতের চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের লতিফ মোল্লার ছেলে মুরাদ। তিনি পদ্মা গ্রুপে চাকরি করতেন। তিনি মগবাজার এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।’

তিনি বলেন, ‘মুরাদ একজন সৎ ছেলে। তার খণ্ডিত মৃতদেহ দেখে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। এটা ট্রেনে কাটা তো নাও হতে পারে, তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে রেললাইনে ফেলে যেতে পারে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’