ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতে ক্ষমা চাইলেন ভোলার এসপি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ যথাযথ প্রক্রিয়ায় তথ্য না দেওয়ায় আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সরকার মো. কায়সার। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

এর আগে গত ১ জুলাই ভোলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এ মামলার আরেক আসামি অশীতিপর রাবেয়া খাতুন গত ১৮ বছর ধরে ঘুরছেন আদালতে।

তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে গত ৩ জুলাই প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলহাস ওরফে জুয়েল গত ১০-১২ বছর আগে পরিবার নিয়ে ভোলায় চলে গেছেন।

অন্যদিকে, ভোলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে হাইকোর্ট বিভাগের দু’জন বিচারপতির বরাবরে সরাসরি খামে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোলায় জুলহাস নামে কোনো ব্যক্তি নেই, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোলা সদর এলাকায় পশ্চিম বাপতা নামে কোনো গ্রামও নেই।

এ সময় রাবেয়া খাতুনের আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল আদালতকে জানান, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর ফার্মগেটের পশ্চিম তেজতুরিবাজার এলাকায় জুলহাসকে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা নূরজাহান বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।

এ পর্যায়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাহলে পুলিশ কী প্রতিবেদন পাঠালো? এসব প্রতিবেদন পরস্পরবিরোধী। এখানে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে।

আদালত আরও বলেন, ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) যেভাবে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, সেখানে কোনো অফিসিয়াল ডেকোরাম অনুসরণ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে না পাঠিয়ে খামের ওপর ভুলভাবে আমাদের (বিচারপতি) ঠিকানা লিখে সরাসরি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এখানে কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। পরে ভোলার এসপিকে তলব করেন হাইকোর্ট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আদালতে ক্ষমা চাইলেন ভোলার এসপি

আপডেট টাইম : ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ যথাযথ প্রক্রিয়ায় তথ্য না দেওয়ায় আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সরকার মো. কায়সার। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

এর আগে গত ১ জুলাই ভোলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এ মামলার আরেক আসামি অশীতিপর রাবেয়া খাতুন গত ১৮ বছর ধরে ঘুরছেন আদালতে।

তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে গত ৩ জুলাই প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলহাস ওরফে জুয়েল গত ১০-১২ বছর আগে পরিবার নিয়ে ভোলায় চলে গেছেন।

অন্যদিকে, ভোলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে হাইকোর্ট বিভাগের দু’জন বিচারপতির বরাবরে সরাসরি খামে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোলায় জুলহাস নামে কোনো ব্যক্তি নেই, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোলা সদর এলাকায় পশ্চিম বাপতা নামে কোনো গ্রামও নেই।

এ সময় রাবেয়া খাতুনের আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল আদালতকে জানান, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর ফার্মগেটের পশ্চিম তেজতুরিবাজার এলাকায় জুলহাসকে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা নূরজাহান বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।

এ পর্যায়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাহলে পুলিশ কী প্রতিবেদন পাঠালো? এসব প্রতিবেদন পরস্পরবিরোধী। এখানে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে।

আদালত আরও বলেন, ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) যেভাবে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, সেখানে কোনো অফিসিয়াল ডেকোরাম অনুসরণ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে না পাঠিয়ে খামের ওপর ভুলভাবে আমাদের (বিচারপতি) ঠিকানা লিখে সরাসরি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এখানে কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। পরে ভোলার এসপিকে তলব করেন হাইকোর্ট।