ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিল্কী হত্যা মামলার ৪ আসামি এখনও পলাতক

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ   ছয় বছর আগে সংঘটিত ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলায় এখনও পলাতক চার আসামি। পলাতক আসামিরা হলেন—শাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মিল্কীর গাড়িচালক মারুফ রেজা সাগরের স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপা, শরিফ উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ও সৈয়দ মুজতবা আলী।

এদের পলাতক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার ১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ওই চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কীকে। বিপণি বিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় খুনের এ দৃশ্য ধরা পড়ে।

ওই রাতেই উত্তরার একটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ কয়েকজনকে। গ্রেফতারের দুই দিন পর ৩১ জুলাই রাতে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন তারেকসহ দুজন।

২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে দাবি করে বাদী ওই বছরের ৬ জুন আদালতে নারাজি দেন।

ওই বছরের ১৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ঘটনা তদন্ত করে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। নতুন করে আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযুক্ত ১৮ আসামি হলেন— সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, সোহেল মাহমুদ ওরফে সোহেল ভূঁইয়া, চুন্নু মিয়া, আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, সাহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, জাহাঙ্গীর মণ্ডল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু, তুহিন রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রকাশ রুমী, মোহাম্মদ রাশেদ মাহমুদ ওরফে আলী হোসেন রাশেদ ওরফে মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার, ডা. দেওয়ান মো. ফরিদউদ্দৌলা ওরফে পাপ্পু ও মামুন উর রশীদ।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে লোপাসহ ৬ জন বিভিন্ন সময় আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে ১৪ জন নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিলেও ৪ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে লোপাকে ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর পলাতক হন তিনি।

মামলাটি ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস. মোহাম্মদ আলীর আদালতে বিচারাধীন আছে। আগামী ২৮ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

সংশ্লিস্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আলমগীর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষীর পর্যায়ে আছে। কিন্তু আসামিপক্ষ চার্জ গঠনে ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখে হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করতে বলা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মিল্কী হত্যা মামলার ৪ আসামি এখনও পলাতক

আপডেট টাইম : ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ   ছয় বছর আগে সংঘটিত ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলায় এখনও পলাতক চার আসামি। পলাতক আসামিরা হলেন—শাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মিল্কীর গাড়িচালক মারুফ রেজা সাগরের স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপা, শরিফ উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ও সৈয়দ মুজতবা আলী।

এদের পলাতক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার ১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ওই চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কীকে। বিপণি বিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় খুনের এ দৃশ্য ধরা পড়ে।

ওই রাতেই উত্তরার একটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ কয়েকজনকে। গ্রেফতারের দুই দিন পর ৩১ জুলাই রাতে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন তারেকসহ দুজন।

২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে দাবি করে বাদী ওই বছরের ৬ জুন আদালতে নারাজি দেন।

ওই বছরের ১৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ঘটনা তদন্ত করে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। নতুন করে আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযুক্ত ১৮ আসামি হলেন— সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, সোহেল মাহমুদ ওরফে সোহেল ভূঁইয়া, চুন্নু মিয়া, আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, সাহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, জাহাঙ্গীর মণ্ডল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু, তুহিন রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রকাশ রুমী, মোহাম্মদ রাশেদ মাহমুদ ওরফে আলী হোসেন রাশেদ ওরফে মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার, ডা. দেওয়ান মো. ফরিদউদ্দৌলা ওরফে পাপ্পু ও মামুন উর রশীদ।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে লোপাসহ ৬ জন বিভিন্ন সময় আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে ১৪ জন নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিলেও ৪ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে লোপাকে ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর পলাতক হন তিনি।

মামলাটি ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস. মোহাম্মদ আলীর আদালতে বিচারাধীন আছে। আগামী ২৮ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

সংশ্লিস্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আলমগীর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষীর পর্যায়ে আছে। কিন্তু আসামিপক্ষ চার্জ গঠনে ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখে হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করতে বলা হয়েছে।