শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তীব্র শীত ও গরম ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত ছুটির বাইরেও এ বছর প্রায় ২০ দিনের বেশি অতিরিক্ত বন্ধ ছিল দেশের স্কুল-কলেজ। সম্প্রতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে, জানুয়ারি মাসে তীব্র শীতের কারণে দেশের কয়েকটি জেলায় কিছুদিন বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অতিরিক্ত এই বন্ধের ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।
তাপদাহে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ও আংশিক বন্ধ রাখার পর রোববার থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস চলবে। তবে, আপাতত প্রাথমিকে বন্ধ থাকছে শনিবার
এর আগে, রমজান মাস, স্বাধীনতা দিবস, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পাঠদান শুরুর কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০ এপ্রিল এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ছুটির পর ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। তবে একদিন ক্লাস করেই তাপপ্রবাহের কারণে ২৯ এপ্রিল পাঁচ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ৩০ এপ্রিল দুটি বিভাগের সব জেলাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।