ঢাকা , বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাবিপ্রবিতে অনুমতি ব্যতীত মন্দির নির্মাণের চেষ্টা

অনুমতি ব্যতীত মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পাশে অনুমতিবিহীন মন্দির নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পিছনে ৫০ শতক জায়গা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো মন্দির নির্মাণ করেনি। সেজন্য নিয়মিত প্রার্থনার সুবিধার্থে সনাতন শিক্ষার্থীদের অনুদানে মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। এতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পার্শ্ববর্তী টিলায় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এসে শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

মন্দির নির্মাণ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শান্তনু বলেন, কালী পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রত্যেকবছর কালী পূজা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে পূজা মন্ডপ তৈরি করতে হয়। এতে আমাদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়। তাই অতিরিক্ত অর্থ খরচ ও নিয়মিত প্রার্থনা করতে এ মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাজ করতে আসলে আমাদের কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঁধা দেয়। তারা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইনি কাঠামো আছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এরকম কোনো কাজ করা যাবে না এবং আমাদের কাজ বন্ধ করতে বলে। কাজ বন্ধের বিষয়ে আমরা প্রশাসন দুঘণ্টার সময় নিয়ে আসছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বরত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের তাৎক্ষণিক ডাকা হয়েছে এবং মন্দির বানানোর কাজ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। তারা দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শাবিপ্রবিতে অনুমতি ব্যতীত মন্দির নির্মাণের চেষ্টা

আপডেট টাইম : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনুমতি ব্যতীত মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পাশে অনুমতিবিহীন মন্দির নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পিছনে ৫০ শতক জায়গা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো মন্দির নির্মাণ করেনি। সেজন্য নিয়মিত প্রার্থনার সুবিধার্থে সনাতন শিক্ষার্থীদের অনুদানে মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। এতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পার্শ্ববর্তী টিলায় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এসে শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

মন্দির নির্মাণ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শান্তনু বলেন, কালী পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রত্যেকবছর কালী পূজা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আমাদেরকে পূজা মন্ডপ তৈরি করতে হয়। এতে আমাদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়। তাই অতিরিক্ত অর্থ খরচ ও নিয়মিত প্রার্থনা করতে এ মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাজ করতে আসলে আমাদের কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঁধা দেয়। তারা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইনি কাঠামো আছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এরকম কোনো কাজ করা যাবে না এবং আমাদের কাজ বন্ধ করতে বলে। কাজ বন্ধের বিষয়ে আমরা প্রশাসন দুঘণ্টার সময় নিয়ে আসছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বরত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের তাৎক্ষণিক ডাকা হয়েছে এবং মন্দির বানানোর কাজ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। তারা দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।