ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬৩% বেতন পান ১০ হাজার টাকার কম: গবেষণা

দেশে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাত্র ১৩ শতাংশ শিক্ষার মানে সন্তুষ্ট। আর কারিগরি প্রশিক্ষণ পাওয়া ৬৩ শতাংশের বেতন ১০ হাজার টাকার নিচে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)।

অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনর ও সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ইউসেপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব রুহুল আমিন, সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রকিব উল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন অন্ট্রাপ্রেনরস (বিএফডব্লিউই) সভাপতি ড. রুবিনা হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে সরকারি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম—একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন’ শীর্ষক গবেষণা উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান।

চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে পঞ্চগড়, সুনামগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা—প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামত নেওয়া হয়েছে। ৬০০ জন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, ৬০ জন শিক্ষক-প্রশিক্ষক, ২৪০ জন অভিভাবক, ৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও চাকরিদাতাদের ৭৫ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ নেই, ল্যাবের সংখ্যা অপ্রতুল। পঞ্চগড় ও সুনামগঞ্জে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট না থাকায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা লাভের সুযোগবঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেইস না থাকায় অসাধু শিক্ষার্থীরা ভাতার জন্য একাধিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখনো কারিগরি শিক্ষাকে মিস্ত্রি তৈরির শিক্ষা মনে করেন। আঞ্চলিক সংলাপে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, সাধারণ মানুষ তাঁদের ঘৃণার চোখে দেখে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ধরনের প্রশিক্ষণ চান, সেখানে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। দক্ষতার উন্নয়ন হয় না, যেটা জরুরি। কারিগরি শিক্ষা ছাড়া বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের টেকসই কোনো সমাধান নেই। প্রতিবেদনে শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমের বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানো, চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রণোদনা বাড়ানো, প্রশিক্ষণের প্রচার বাড়ানো এবং নিড বেইজড ট্রেনিং বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষা নয়, মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা হলো বাংলাদেশের আগামী দিনের রূপান্তরের অন্যতম চালিকাশক্তি, আগামী উন্নয়নের কারিগরি শক্তি। শিল্পায়ন, কৃষি, সেবা, চিকিৎসা খাতের আধুনিকায়নের জন্য এই শিক্ষাশক্তি প্রয়োজন।

কারিগরি শিক্ষা রূপান্তরে অংশীদারিমূলক সংস্কার কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বহু সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। সরকার অনেক কমিশন, কমিটি করছে। কারিগরি শিক্ষার সংস্কার নয়, এর আধুনিকায়ন ও রূপান্তরের জন্য একটি অংশীদারিমূলক বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, এটা কোনো বোর্ডের কিংবা মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এটা জাতীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউসেপ বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মাইন্ডসেট চেঞ্জ করতে হবে। দেশে চাকরি আছে, চাকরিপ্রার্থী আছে। যে ফ্যাসিলিটিজ আছে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করতে পারছি না। অল্প দক্ষ জনশক্তিকে ইন্ডাস্ট্রি গ্রহণ করছে না। শুধু চিন্তার পরিবর্তন করলেই সমাধান হয়ে যাবে।’

দেশের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু সমস্যা থাকলেও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সক্ষম বলে দাবি করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জর্ডানে গিয়ে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশে কেন করতে পারবে না? এ জন্য আমাদের দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘মিডলম্যানদের দৌরাত্ম্যের কারণে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে। তাদেরকে আইনি কাঠামোতে আনতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ডিসেম্বরে একটি প্ল্যাটফর্ম করা হবে। চাকরিদাতাদের চাহিদা ও বিদেশ গমনে ইচ্ছুকদের সব তথ্য সেখানে উন্মুক্ত থাকবে।’

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ঠিক না করে নতুন প্রতিষ্ঠান বা বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। ৮০ শতাংশ শিক্ষকসংকটের মধ্যে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করলে সেখানে কাকে নিয়োগ দেব?’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬৩% বেতন পান ১০ হাজার টাকার কম: গবেষণা

আপডেট টাইম : ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

দেশে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাত্র ১৩ শতাংশ শিক্ষার মানে সন্তুষ্ট। আর কারিগরি প্রশিক্ষণ পাওয়া ৬৩ শতাংশের বেতন ১০ হাজার টাকার নিচে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)।

অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনর ও সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ইউসেপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব রুহুল আমিন, সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রকিব উল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন অন্ট্রাপ্রেনরস (বিএফডব্লিউই) সভাপতি ড. রুবিনা হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে সরকারি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম—একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন’ শীর্ষক গবেষণা উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান।

চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে পঞ্চগড়, সুনামগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা—প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামত নেওয়া হয়েছে। ৬০০ জন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, ৬০ জন শিক্ষক-প্রশিক্ষক, ২৪০ জন অভিভাবক, ৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও চাকরিদাতাদের ৭৫ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ নেই, ল্যাবের সংখ্যা অপ্রতুল। পঞ্চগড় ও সুনামগঞ্জে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট না থাকায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা লাভের সুযোগবঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেইস না থাকায় অসাধু শিক্ষার্থীরা ভাতার জন্য একাধিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখনো কারিগরি শিক্ষাকে মিস্ত্রি তৈরির শিক্ষা মনে করেন। আঞ্চলিক সংলাপে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, সাধারণ মানুষ তাঁদের ঘৃণার চোখে দেখে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ধরনের প্রশিক্ষণ চান, সেখানে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। দক্ষতার উন্নয়ন হয় না, যেটা জরুরি। কারিগরি শিক্ষা ছাড়া বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের টেকসই কোনো সমাধান নেই। প্রতিবেদনে শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমের বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানো, চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রণোদনা বাড়ানো, প্রশিক্ষণের প্রচার বাড়ানো এবং নিড বেইজড ট্রেনিং বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষা নয়, মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা হলো বাংলাদেশের আগামী দিনের রূপান্তরের অন্যতম চালিকাশক্তি, আগামী উন্নয়নের কারিগরি শক্তি। শিল্পায়ন, কৃষি, সেবা, চিকিৎসা খাতের আধুনিকায়নের জন্য এই শিক্ষাশক্তি প্রয়োজন।

কারিগরি শিক্ষা রূপান্তরে অংশীদারিমূলক সংস্কার কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বহু সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। সরকার অনেক কমিশন, কমিটি করছে। কারিগরি শিক্ষার সংস্কার নয়, এর আধুনিকায়ন ও রূপান্তরের জন্য একটি অংশীদারিমূলক বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, এটা কোনো বোর্ডের কিংবা মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এটা জাতীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউসেপ বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এ মতিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। মাইন্ডসেট চেঞ্জ করতে হবে। দেশে চাকরি আছে, চাকরিপ্রার্থী আছে। যে ফ্যাসিলিটিজ আছে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করতে পারছি না। অল্প দক্ষ জনশক্তিকে ইন্ডাস্ট্রি গ্রহণ করছে না। শুধু চিন্তার পরিবর্তন করলেই সমাধান হয়ে যাবে।’

দেশের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু সমস্যা থাকলেও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সক্ষম বলে দাবি করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জর্ডানে গিয়ে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশে কেন করতে পারবে না? এ জন্য আমাদের দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘মিডলম্যানদের দৌরাত্ম্যের কারণে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে। তাদেরকে আইনি কাঠামোতে আনতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ডিসেম্বরে একটি প্ল্যাটফর্ম করা হবে। চাকরিদাতাদের চাহিদা ও বিদেশ গমনে ইচ্ছুকদের সব তথ্য সেখানে উন্মুক্ত থাকবে।’

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ঠিক না করে নতুন প্রতিষ্ঠান বা বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। ৮০ শতাংশ শিক্ষকসংকটের মধ্যে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করলে সেখানে কাকে নিয়োগ দেব?’