বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ “স্যার আমরা ঠিক মতো লেখা পড়া করতে পারিনা,সামনে আমাগরে সমাপনী পরিক্ষা ,স্কুলে স্যার আপা আসেনা” এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন ইসলামপুর চর গোয়ালীনি ইউনিয়নের ৭৭ নং পূর্ব হরিণ ধরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র আবু রায়হান। তার কথা না শেষ হতেই ছুটে এসে বলে আমি আলম বাবু ,আ:রশিদ,মিজান,শরিফুল আমরা সভাই ৫ম শ্রেণীর ছাত্র, আপা আসে মাসে দু একদিন করে আর মাঝে মাঝে স্যার আসে ১২টা দিকে আবার চলে যায় ১দিকে, খালেদ সাইফুল স্যার আমাগরে । ক্লাশ করার জন্য সাকাওয়াত স্যার কে বলে দেয়,সে স্যার ওয়ান থেকে শুরু করে ফাইভ পর্যন্ত এক সাথে আমাগড়ে পরায় কোন মাসে ৭দিন আবার কোন মাসে ১০ দিন করে। গত রোববার বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গেলে এমন আকুতি জানায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এসময় খুজঁ নিয়ে দেখা গেলো বিদ্যায়লয়টিতে কোন শিক্ষক নেই। এসময় পাওয়া যায় একজন প্রক্সি শিক্ষককে। এভাবেই পাঠদান হচ্ছে ইসলামপুর চর গোয়ালীনি ইউনিয়নের ৭৭ নং পূর্ব হরিণ ধরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্থানীয়রা জানায়,কোন শিক্ষকই বিদ্যালয়ে আসে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌসী জাহান মাসের পর মাস জামালপুরে থাকেন। খালেদ সাইফুল নামে শিক্ষক মাসে দুই একদিন স্কুলে এসে ভূয়া হাজিরা স্বাক্ষর দিয়ে যায়। এসব অনুপস্থিত শিক্ষকদের বদলে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা মাসে ২হাজার টাকার বিনিময়ে সাকাওয়াত হোসেন নামে একজন পক্স্রি শিক্ষক দিয়ে মাসে ৮/১০ দিন ক্ল্যাস করাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি অফিসের কাজে ব্যাস্ত আছি। সহকারী শিক্ষক খালেদ সাইফুল স্কুলে দায়িত্বে আছে। স্কুলে সরেজমিনে অবস্থান কালে সহকারী শিক্ষক খালেদ সাইফুকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে খালেদ সাইফুলের পরবর্তীতে ইসলামপুরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমার পরিবর্তে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি।
এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মারফত আলী জানান,বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে, ঠিকমত ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদান হচ্ছে না। ।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জানান, অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।