ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বর্ষা মৌসুমে টানা ৩মাস পানিতে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়টি ফলে তিন মাস শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবুও পিছিয়ে নেই এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বছর শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের ভিতরে ভাল ফলাফলের সারিতে থাকে বিদ্যালয়টির নাম। শুধু পিছিয়ে আছে বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী যুবকদের প্রচেষ্টায় ১ একর সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৪ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে শিক্ষার গুণগত মান আজও অব্যাহত রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।

স্কুলসূত্রে জানাযায়, তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৮০ জন। এসএসসি পাশের হার শতকরা ৯৭.৮৭%। শিক্ষার গুণগত মান আশানুরুপ থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০০৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়ে ৭জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী বেতনভুক্ত হলেও ১৫বছর যাবৎ ৪জন শিক্ষক ও ১জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছে। তারা হলেন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম, তৃষ্ণারানী মন্ডল, নার্গিস পারভীন, মোঃ আলমগীর হোসেন এবং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী হাবিবুর রহমান।

সরজমিন দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে ইটের গাথুনি আর টিনের ছাউনিদ্বারা নির্মিত হওয়ার পর থেকে তার কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। একদিকে নিচু জায়গা অপরদিকে টিনের ছাউনির জরাজীর্ণ অবস্থা। তারপরেও শিক্ষার মান থেকে পিছিয়ে নেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পিছিয়ে আছে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধু তপন কুমার জানান, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ১৫ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এসে বিদ্যালয়টি দেখে সরকারি অনুদান হিসাবে ৩ বান টিন বরাদ্দ দিয়ে ছিলেন।

আর কোন কিছু আমরা সরকারি অনুদান পাইনি। তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এমপিওভুক্ত এবং একটি ফ্যাসালিটিস ভবন বরাদ্দের দাবি জানান।বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান জানান, সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেখেছি শিক্ষকরা আন্তরিকতার সহিত ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কয়েকজন শিক্ষক বেতন ছাড়া মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিদ্যালয়টি এমপিও হলে শিক্ষকরা পাঠদানে আরও মনোযোগী হবে এবং শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, শিক্ষকরা বিতা বেতনে চাকরি করছে কারণ বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায় এমপিও বন্ধ আছে। সরকার ছাড়লে স্কুলটি এমপিও করার চেষ্টা করব। তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, স্কুলটির শিক্ষার মান ভালো। স্কুলটির জন্য এই মুহূর্তে একটি ভবন খুব জরুরি। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়িত ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করে। আমি এ বিষয়টি এমপি মহোদয়কে বলেছি। ২৬ মার্চ স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অবকাঠামো অবস্থা দেখে আমার খুব খারাপ লাগায় তালা উপজেলা পরিষদ থেকে সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বর্ষা মৌসুমে টানা ৩মাস পানিতে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়টি ফলে তিন মাস শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবুও পিছিয়ে নেই এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বছর শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের ভিতরে ভাল ফলাফলের সারিতে থাকে বিদ্যালয়টির নাম। শুধু পিছিয়ে আছে বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী যুবকদের প্রচেষ্টায় ১ একর সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৪ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে শিক্ষার গুণগত মান আজও অব্যাহত রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।

স্কুলসূত্রে জানাযায়, তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৮০ জন। এসএসসি পাশের হার শতকরা ৯৭.৮৭%। শিক্ষার গুণগত মান আশানুরুপ থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০০৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়ে ৭জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী বেতনভুক্ত হলেও ১৫বছর যাবৎ ৪জন শিক্ষক ও ১জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছে। তারা হলেন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল হালিম, তৃষ্ণারানী মন্ডল, নার্গিস পারভীন, মোঃ আলমগীর হোসেন এবং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী হাবিবুর রহমান।

সরজমিন দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে ইটের গাথুনি আর টিনের ছাউনিদ্বারা নির্মিত হওয়ার পর থেকে তার কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। একদিকে নিচু জায়গা অপরদিকে টিনের ছাউনির জরাজীর্ণ অবস্থা। তারপরেও শিক্ষার মান থেকে পিছিয়ে নেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পিছিয়ে আছে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধু তপন কুমার জানান, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ১৫ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এসে বিদ্যালয়টি দেখে সরকারি অনুদান হিসাবে ৩ বান টিন বরাদ্দ দিয়ে ছিলেন।

আর কোন কিছু আমরা সরকারি অনুদান পাইনি। তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এমপিওভুক্ত এবং একটি ফ্যাসালিটিস ভবন বরাদ্দের দাবি জানান।বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান জানান, সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেখেছি শিক্ষকরা আন্তরিকতার সহিত ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কয়েকজন শিক্ষক বেতন ছাড়া মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিদ্যালয়টি এমপিও হলে শিক্ষকরা পাঠদানে আরও মনোযোগী হবে এবং শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, শিক্ষকরা বিতা বেতনে চাকরি করছে কারণ বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায় এমপিও বন্ধ আছে। সরকার ছাড়লে স্কুলটি এমপিও করার চেষ্টা করব। তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, স্কুলটির শিক্ষার মান ভালো। স্কুলটির জন্য এই মুহূর্তে একটি ভবন খুব জরুরি। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়িত ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করে। আমি এ বিষয়টি এমপি মহোদয়কে বলেছি। ২৬ মার্চ স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অবকাঠামো অবস্থা দেখে আমার খুব খারাপ লাগায় তালা উপজেলা পরিষদ থেকে সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।