ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন না ইউএনও

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  আকস্মিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর দেখা পাননি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখেন ইউএনও। পরে মুঠোফোনে ডেকে আনা হয় শিক্ষকদের। এ ঘটনায় তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইউএনও ১০১ নং চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই। শূন্য বিদ্যালয়। পরে ১০টার দিকে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানকে মুঠোফোনে বিদ্যালয়ে আসতে বললে তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী ও আসাদুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।

বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির সহকারী শিক্ষক মো. ইনতাজ উদ্দিনকে খবর দিলে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। ইনতাজ উদ্দিন মুঠোফোনে অপর শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসতে বললে কিছুক্ষণ পর তারা বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। পরে ৪-৫ জন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও বেতনভাতা স্থগিতসহ সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন না ইউএনও

আপডেট টাইম : ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  আকস্মিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর দেখা পাননি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখেন ইউএনও। পরে মুঠোফোনে ডেকে আনা হয় শিক্ষকদের। এ ঘটনায় তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ইউএনও ১০১ নং চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই। শূন্য বিদ্যালয়। পরে ১০টার দিকে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানকে মুঠোফোনে বিদ্যালয়ে আসতে বললে তিনি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী ও আসাদুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।

বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির সহকারী শিক্ষক মো. ইনতাজ উদ্দিনকে খবর দিলে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। ইনতাজ উদ্দিন মুঠোফোনে অপর শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসতে বললে কিছুক্ষণ পর তারা বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। পরে ৪-৫ জন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও বেতনভাতা স্থগিতসহ সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।