বৈশাখী ভাতার দাবিতে ১১টি শিক্ষক-কর্মচারি সংগঠনের মোর্চা জাতীয় শিক্ষক কর্মচারি ফ্রন্ট রাজধানীতে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হন শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘শিক্ষকদের আর্থিকভাবে বঞ্চিত ও সামাজিকভাবে অমর্যাদা করে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। এসডিজি-৪ বাস্তবায়নও সম্ভব নয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও আইএলও সনদে বর্ণিত অধিকার মযর্ডযাদারি বাস্তবায়ন করতে হবে। ব্যক্তিগত ও দলীয় পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে প্রকাশ্য নীতিমালার ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণে উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষকদের অবশ্যই বৈশাখী ভাতা দিতে হবে।’
শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘যেসব শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষকদের মুখে চুনকালি দিচ্ছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষকের জন্য পুরো শিক্ষক সমাজ দায়ী হতে পারে না। দোষী
শিক্ষকদের শিক্ষকতা থেকে বের করে দিতে হবে।’
কর্মসূচিতে এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অধ্যক্ষ সমিতির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংযুক্ত শিক্ষক পরিষদ সভাপতি মাহবুব-উল-আলম তালুকদার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসিন রেজা, সহকারী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক এম এ মান্নান, কলেজ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আনসার আলী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা দেওয়া হলেও গত বছর এবং চলতি বছর বেসরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পাননি।