আন্দোলন-বিপ্লব-সংস্কার—অনেক দিন ধরেই এমন নানা ইস্যুতে মজে আছে দেশের মানুষ। এ সময় নাটক দেখার সময়ও পায়নি অনেকে। অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে একের পর এক নাটক-গান।
‘হঠাৎ’ শব্দটি শুনলেই বাঙালি দর্শকের মনে চলে আসে বাসু চ্যাটার্জির ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র কথা। ফেরদৌস, প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী ও শ্রীলেখা মিত্র অভিনীত ১৯৯৮ সালের এ ছবি এখনো গেঁথে আছে দর্শকহৃদয়ে। ইমরাউল রাফাতের নাটক ‘হঠাৎ ভালোবাসা’র নামটি সেখান থেকেই এলো কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করেননি অভিনেতা জোভান। তাঁর ভাষ্য, “হয়তো ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ থেকে অনুপ্রাণিত। তবে পুরোপুরি নতুন গল্প। আর এই ছবি নিয়ে বলতে গেলে, ছোটবেলায় ছবিটি দেখেছিলাম। আমার খুব পছন্দের ছবি এটি।”
শোবিজে রাজনৈতিক প্রভাব
গণ-অভ্যুত্থানের কারণে নাটক-সিনেমা তথা বিনোদন থেকে দর্শক কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই প্রভাব কাটিয়ে ওঠার প্রসঙ্গে জোভান বলেন, ‘শোবিজের ওপর একটা প্রভাব তো পড়েছেই। যেহেতু অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে, সুতরাং পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। প্রযোজকরা এখন লগ্নি করছেন না। তবে আমি আশা করি শিগগিরই এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
বিরতি ভেঙে তিভান
ইমরোজ শাওনের ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’-এ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জোভান ও তানজিন তিশা। এর মাধ্যমে অনেক দিন পর একসঙ্গে পর্দায় হাজির হলেন তাঁরা। নাটকটি নিয়ে জোভান বলেন, ‘এ নাটকের মূল আকর্ষণ হলো আমার আর তিশার ফিরে আসা। কোনো কারণে গত কয়েক বছর একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। আমাদের বেশ ভালো ফ্যানবেজ ছিল। তারা আমাদের জুটিকে একটা নামও দিয়েছিল—তিভান। দীর্ঘদিন পর আবারও আমাদের কেমিস্ট্রি দেখতে পাচ্ছে তারা, ইটস আ পজিটিভ সাইন। আর তিশার সঙ্গে আমার অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন দুই কেমিস্ট্রিই ভালো। অনেক দিনের বন্ধুত্ব। এ কারণে পর্দায় অভিনয় করতে অনেক সহজ হয়।’
শুটিং যখন ক্যাম্পাসে
নাটকের নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’, শুটিংও হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শুটিংয়ের সে অভিজ্ঞতার কথা বললেন জোভান, ‘কোরবানির ঈদের আগে নাটকটির বেশির ভাগ শুটিং করেছিলাম আইইউবিএটি-তে। কিছু প্যাচওয়ার্ক বাকি ছিল, কদিন আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন করেছি সেটা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। শটের ফাঁকে ফাঁকে ছবি তুলেছে। বেশ আরামেই শুটিং করতে পেরেছি।’
বিদেশ থেকে কাজের খবর
জোভান এখন রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। একাধিক নাটকের শুটিং করছেন সেখানে। সেখান থেকেই জানালেন নতুন কাজের খবর, ‘মাঝে এক-দেড় মাস কোনো কাজ করিনি। এখন দেশের বাইরে আছি। আসার আগে দুটি নাটক করেছি। একটি ইফতেখার আহমেদ ভাইয়ের, আমার সঙ্গে আছেন সাদিয়া আয়মান। আরেকটি মাহমুদুর রহমান হিমির, সহশিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রে কোন কোন নাটকের শুটিং করছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি জোভান।
আপাতত সিনেমা নয়
এক যুগ ধরে টিভি পর্দায় কাজ করছেন জোভান। দর্শকের ভালোবাসাও কুড়িয়েছেন দুহাতে। ওটিটি ও রুপালি পর্দায় সেভাবে পাওয়া যায়নি তারকা জোভানকে। অনন্য মামুনের ছবি ‘অস্তিত্ব’ ও শিহাব শাহীনের সিরিজ ‘মরীচিকা’—উল্লেখযোগ্য এ দুটিই। জোভানের স্পষ্ট কথা, ‘সিনেমা নিয়ে আপাতত কিছুই ভাবছি না।’ অর্থাৎ নাটক নিয়েই তিনি খোশ মেজাজেই আছেন।