ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি কখনই নায়িকা পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে চাইনি : আকবর

খুলনা জেলার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরেই। এক সময় যশোর শহরের অলিগলিতে রিক্সা চালাতেন আকবর। সেখানে টুকটাক গান করতেন। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর।

সেই অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের এক ভদ্রলোক আকবরের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারপর তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদির টিম আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইত্যাদিতে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে, ফিরবে না সেতো আর কারও আকাশে’- কিশোর কুমারের এ গানটি গেয়ে রাতারাতি সারাদেশে জনপ্রিয় হয়ে যান আকবর।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক অ্যালবাম বাজারে আসতে থাকে তার। এর মধ্যে


তুমুল জনপ্রিয়তা পায় ‘হাত পাখার বাতাসে’ অ্যালবামের এই টাইটেল গানটি। এদিকে আকবরের গাওয়া ‘হাতপাখার বাতাসে’ গানটি যেমন তাকে নিয়ে গিয়েছিল জনপ্রিয়তার নান্দনিক উচ্চতায় তেমনি এই গানটিই তাকে উত্থানের গল্প শোনার আগেই পতনের দিকে ধাবিত করেছিল। আকবরের এমনই ধারণা।

গানটির অডিও প্রকাশের পর এর ভিডিও প্রকাশও হয়েছিল। সেখানে আকবরের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন সেই সময়ে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেসময় চাউর হয়েছিল আকবর পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এতে পূর্ণিমা রেগে গিয়েছিলেন এই গায়কের উপর। এ ঘটনায় আকবর সমালোচিত হন। কমে যেতে থাকে তার গ্রহণযোগ্যতা।

তবে সেই ধারণা কি সত্য নাকি গুজব? আকবর বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। আমি কখনই নায়িকা পূর্ণিমা ম্যাডামকে বিয়ে করতে চাইনি। আমার গানটি করার সময় ম্যাডাম তখন সুপারহিট নায়িকা ছিলেন। উনাকে যে আমার গানে পেয়েছিলাম এটাই আমার পরম পাওয়া। উনি অনেক ভালো মানুষ।’

আকবর আরো বলেন, ‘আমার মত অখ্যাত এক গায়কের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন। তার তারকাখ্যাতির স্পর্শে আমি অনেক দূর এসেছি। সবাই আমাকে ভালোবেসেছিল। কিন্তু কিছু মানুষ যারা আমাকে হিংসে করতো, যারা আমার উত্থান মেনে নিতে পারেনি তারা আমার সঙ্গে পূর্ণিমা ম্যাডামকে জড়িয়ে নানা কটূ কথা ও গুজব ছড়ায়। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আরও বেশি কষ্টের কারণ হলো অধিকাংশ মানুষই এই গুজব বিশ্বাস করেছিলেন। আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আমার মত মানুষের একটা দোষ হাজার দোষের সমান। কেউ যাচাই বাছাই করার ধৈর্য রাখে না।’

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আমি কখনই নায়িকা পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে চাইনি : আকবর

আপডেট টাইম : ০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

খুলনা জেলার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরেই। এক সময় যশোর শহরের অলিগলিতে রিক্সা চালাতেন আকবর। সেখানে টুকটাক গান করতেন। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর।

সেই অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের এক ভদ্রলোক আকবরের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারপর তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদির টিম আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইত্যাদিতে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে, ফিরবে না সেতো আর কারও আকাশে’- কিশোর কুমারের এ গানটি গেয়ে রাতারাতি সারাদেশে জনপ্রিয় হয়ে যান আকবর।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক অ্যালবাম বাজারে আসতে থাকে তার। এর মধ্যে


তুমুল জনপ্রিয়তা পায় ‘হাত পাখার বাতাসে’ অ্যালবামের এই টাইটেল গানটি। এদিকে আকবরের গাওয়া ‘হাতপাখার বাতাসে’ গানটি যেমন তাকে নিয়ে গিয়েছিল জনপ্রিয়তার নান্দনিক উচ্চতায় তেমনি এই গানটিই তাকে উত্থানের গল্প শোনার আগেই পতনের দিকে ধাবিত করেছিল। আকবরের এমনই ধারণা।

গানটির অডিও প্রকাশের পর এর ভিডিও প্রকাশও হয়েছিল। সেখানে আকবরের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন সেই সময়ে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেসময় চাউর হয়েছিল আকবর পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এতে পূর্ণিমা রেগে গিয়েছিলেন এই গায়কের উপর। এ ঘটনায় আকবর সমালোচিত হন। কমে যেতে থাকে তার গ্রহণযোগ্যতা।

তবে সেই ধারণা কি সত্য নাকি গুজব? আকবর বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। আমি কখনই নায়িকা পূর্ণিমা ম্যাডামকে বিয়ে করতে চাইনি। আমার গানটি করার সময় ম্যাডাম তখন সুপারহিট নায়িকা ছিলেন। উনাকে যে আমার গানে পেয়েছিলাম এটাই আমার পরম পাওয়া। উনি অনেক ভালো মানুষ।’

আকবর আরো বলেন, ‘আমার মত অখ্যাত এক গায়কের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন। তার তারকাখ্যাতির স্পর্শে আমি অনেক দূর এসেছি। সবাই আমাকে ভালোবেসেছিল। কিন্তু কিছু মানুষ যারা আমাকে হিংসে করতো, যারা আমার উত্থান মেনে নিতে পারেনি তারা আমার সঙ্গে পূর্ণিমা ম্যাডামকে জড়িয়ে নানা কটূ কথা ও গুজব ছড়ায়। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আরও বেশি কষ্টের কারণ হলো অধিকাংশ মানুষই এই গুজব বিশ্বাস করেছিলেন। আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আমার মত মানুষের একটা দোষ হাজার দোষের সমান। কেউ যাচাই বাছাই করার ধৈর্য রাখে না।’