বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশেষ কারনে ১৫ই নভেম্বর প্রেস মিটিং করতে পারিনি। ছবির শুটিং চলাকালীন একটা সময় প্রেস মিটিং করবো। তবে এটি নিশ্চিত, ১লা ডিসেম্বর থেকে আমার চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। ঢাকার বাইরেই প্রথম লটের শুটিং হবে। এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মীর সাব্বির। প্রথমবারের মতো সরকারী অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন এ অভিনেতা। চলচ্চিত্রটির নাম ‘রাত জাগা ফুল’। মীর সাব্বির বলেন, প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি।

তাই এটির প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী। গেল কয়েকমাস এ ছবি নিয়ে অনেক পর্যালোচনা করছি। ছবির কোনো কাজে ত্রুটি রাখতে চাই না। আর কদিন পরই চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে শুটিং শুরু করছেন। প্রস্তুতি কেমন? এ অভিনেতা-নির্মাতা বলেন, আমি ছোটপর্দার জন্য কিছু কাজ করেছি। সেই কাজগুলো দর্শকের কাছেও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। নির্মাতা হিসেবে সেদিক থেকে অভিজ্ঞতা আছে। এবার বড়পর্দার কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি আগের অভিজ্ঞতা এখানে সহায়ক হবে। এছাড়া অনেক দিন ধরেই আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা করে আসছি। অনেকের মতো হঠাৎ করেই নির্মাণে আসিনি। সবার সহযোগিতা আশা করছি। ছবিটির গল্প কেমন ধরনের? সাব্বির বলেন, আমার এ ছবিতে বিশেষ কোনো নায়ক-নায়িকা নেই। ছবির গল্পই হলো প্রধান। এখানে প্রত্যেকে চরিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই মনে হবে নায়ক-নায়িকা। ছবিটি বিশেষ কোনো শ্রেনীর জন্য না। সব শ্রেনীর দর্শক এ ছবি উপভোগ করতে পারবেন। যদি সঠিক ভাবে সিনেমা হলগুলোতে ছবিটাকে পৌঁছাতে পারি। নির্মাণের পাশাপাশি এ ছবিতে মীর সাব্বিরকেও দেখা যাবে বলে জানান। তবে কেমন চরিত্রে থাকবেন এ অভিনেতা, সেটি নিয়ে এখন কিছু বলতে চান না। চ্যানেল আইয়ে মীর সাব্বিরের পরিচালনায় প্রচার হচ্ছে ‘চোরাকাটা’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক। এছাড়া নাগরিক টিভিতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ‘আম্মানি’ শিরোনামের ধারাবাহিক। ছোটপর্দার ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, প্রচার চলতি দুটি ধারাবাহিক ছাড়াও আমার হাতে ছয়টি ধারাবাহিক আছে। এগুলোর নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, আদীবাসি মিজান, আকাশ রঞ্জন, ফরিদুল হাসান, সৈয়দ শাকিল, ফজলুর রহমান ও রুম্মু খান। টিভি নাটক নিয়ে আজকাল দর্শকের নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়। বিশেষ করে টিভি ধারাবাহিক দর্শক পাচ্ছে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। দর্শক ধরে রাখতে প্রায় চ্যানেলে বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করা হচ্ছে। এটিকে কিভাবে দেখছেন? সাব্বির বলেন, ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে দেখা যায় সিনেমার চ্যানেল শুধু সিনেমা প্রচার করছে। একই রকম ভাবে সিরিয়ালের চ্যানেলে দর্শক শুধু সিরিয়াল দেখে। আমাদের এখানে এক চ্যানেলে সব ধরনের অনুষ্ঠান হয়। এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপনের যন্ত্রনা। দর্শক একটি নাটকে দেখতে বসলে কখনো সংবাদ কখনো বিজ্ঞাপন। বর্তমানে দর্শকের এত সময় নেই যে এভাবে নাটক দেখবে। এছাড়া আমি মনে করি চ্যানেলগুলো দেশীয় নাটকে বাজেট বাড়ালে নাটক আরো বেশি ভালো হবে। অনেক নির্মাতা ভালো বাজেরটের অভাবে ভালো কাজ করতে পারছে না। শুটিং স্পটে শিল্পীদের দেরিতে আসা, নির্মাতা ও শিল্পীদের দূরত্বসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি? তিনি বলেন, আমাদের এখন অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ডসহ একাধিক সংগঠন আছে। তারা সবাই এরইমধ্যে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগির এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।