ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না তুষার খান

বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ তুষার খান এদেশের গুণী একজন অভিনেতা। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে বেশ শক্ত অবস্থান গড়েছেন তিনি। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে—

কেমন আছেন? 

বেশ ভালো। সবকিছু নিয়ে ভালো যাচ্ছে।

অনেকদিন নাটকে আপনি নিয়মিত নেই। এর কারণ?

নাটক আমার কাছে শুধু পেশা নয়। ভালোবাসার একটি জায়গা। এই ভালোবাসার মধ্যেই আমার অনেকদিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না। কোন গল্পে কাজ করবো বা কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো! অনেকে শুধু হাসানোর চরিত্র নিয়ে আসেন। আমি সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ভালো কাজ হচ্ছে না এমনটা নয়। কিন্তু কাজের প্রতি যে মায়াটা ছিল সেটির অভাববোধ করি।

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন…

মাঝে মাঝে কিছু কাজ করছি। এছাড়া এনটিভির ‘হাসো’ শিরোনামের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে কাজ করলাম।

খাওয়া-দাওয়ার’র একটি অনুষ্ঠান আপনি করতেন। ভিন্নরকম একটি অনুষ্ঠান। সেটির অভিজ্ঞতা একটু জানতে চাই—

দারুণ একটি কাজ ছিল। দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেতাম। অনেকে তো জিজ্ঞেস করতো আমি সত্যি এত খেতে পারি কি-না। দর্শকদের সামনা-সামনি প্রতিক্রিয়া খুব জরুরি। এখন ডিজিটাল যুগে ইউটিউবে বা ফেসবুকে মন্তব্য করেই শেষ। সামনে থেকে একজন ভক্তের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে এর তুলনা হয় না।

সিনেমা থেকেও আপনি এখন দূরে। এর কারণ?

এটাও অনেকটা নাটকের মতোই। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। একটা গণ্ডিতে আমাকে বেঁধে দিলে সেখানে কাজের স্বাধীনতা থাকে না।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে মনে রাখার মতো একটি বিষয় জানতে চাই—

বিটিভিতে মামুনুর রশীদের ‘ইতিকথা’ শিরোনামে একটি নাটক প্রচার হতো। সেখানে দুটি চরিত্র ছিল কামাল ও জামাল। আমি জামাল চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেই জামাল চরিত্রটি মানুষের মধ্যে এমনটাই বাসা বেঁধেছে যে, এখনও অনেকে আমাকে দেখলে জামাল বলে ডাকেন। এটি সবার ভালোবাসার ফল।

নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?

নতুনদের বলতে চাই, যারা আসছেন শিখে আসুন। এখন শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ জায়গাটা খুব সহজ না। তাই টিকে থাকতে হলে জেনেই টিকে থাকতে হবে।

 এদেশের গুণী একজন অভিনেতা। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে বেশ শক্ত অবস্থান গড়েছেন তিনি। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে—

কেমন আছেন?

বেশ ভালো। সবকিছু নিয়ে ভালো যাচ্ছে।

অনেকদিন নাটকে আপনি নিয়মিত নেই। এর কারণ?

নাটক আমার কাছে শুধু পেশা নয়। ভালোবাসার একটি জায়গা। এই ভালোবাসার মধ্যেই আমার অনেকদিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না। কোন গল্পে কাজ করবো বা কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো! অনেকে শুধু হাসানোর চরিত্র নিয়ে আসেন। আমি সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ভালো কাজ হচ্ছে না এমনটা নয়। কিন্তু কাজের প্রতি যে মায়াটা ছিল সেটির অভাববোধ করি।

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন…

মাঝে মাঝে কিছু কাজ করছি। এছাড়া এনটিভির ‘হাসো’ শিরোনামের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে কাজ করলাম।

খাওয়া-দাওয়ার’র একটি অনুষ্ঠান আপনি করতেন। ভিন্নরকম একটি অনুষ্ঠান। সেটির অভিজ্ঞতা একটু জানতে চাই—

দারুণ একটি কাজ ছিল। দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেতাম। অনেকে তো জিজ্ঞেস করতো আমি সত্যি এত খেতে পারি কি-না। দর্শকদের সামনা-সামনি প্রতিক্রিয়া খুব জরুরি। এখন ডিজিটাল যুগে ইউটিউবে বা ফেসবুকে মন্তব্য করেই শেষ। সামনে থেকে একজন ভক্তের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে এর তুলনা হয় না।

সিনেমা থেকেও আপনি এখন দূরে। এর কারণ?

এটাও অনেকটা নাটকের মতোই। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। একটা গণ্ডিতে আমাকে বেঁধে দিলে সেখানে কাজের স্বাধীনতা থাকে না।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে মনে রাখার মতো একটি বিষয় জানতে চাই—

বিটিভিতে মামুনুর রশীদের ‘ইতিকথা’ শিরোনামে একটি নাটক প্রচার হতো। সেখানে দুটি চরিত্র ছিল কামাল ও জামাল। আমি জামাল চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেই জামাল চরিত্রটি মানুষের মধ্যে এমনটাই বাসা বেঁধেছে যে, এখনও অনেকে আমাকে দেখলে জামাল বলে ডাকেন। এটি সবার ভালোবাসার ফল।

নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?

নতুনদের বলতে চাই, যারা আসছেন শিখে আসুন। এখন শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ জায়গাটা খুব সহজ না। তাই টিকে থাকতে হলে জেনেই টিকে থাকতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না তুষার খান

আপডেট টাইম : ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ তুষার খান এদেশের গুণী একজন অভিনেতা। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে বেশ শক্ত অবস্থান গড়েছেন তিনি। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে—

কেমন আছেন? 

বেশ ভালো। সবকিছু নিয়ে ভালো যাচ্ছে।

অনেকদিন নাটকে আপনি নিয়মিত নেই। এর কারণ?

নাটক আমার কাছে শুধু পেশা নয়। ভালোবাসার একটি জায়গা। এই ভালোবাসার মধ্যেই আমার অনেকদিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না। কোন গল্পে কাজ করবো বা কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো! অনেকে শুধু হাসানোর চরিত্র নিয়ে আসেন। আমি সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ভালো কাজ হচ্ছে না এমনটা নয়। কিন্তু কাজের প্রতি যে মায়াটা ছিল সেটির অভাববোধ করি।

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন…

মাঝে মাঝে কিছু কাজ করছি। এছাড়া এনটিভির ‘হাসো’ শিরোনামের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে কাজ করলাম।

খাওয়া-দাওয়ার’র একটি অনুষ্ঠান আপনি করতেন। ভিন্নরকম একটি অনুষ্ঠান। সেটির অভিজ্ঞতা একটু জানতে চাই—

দারুণ একটি কাজ ছিল। দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেতাম। অনেকে তো জিজ্ঞেস করতো আমি সত্যি এত খেতে পারি কি-না। দর্শকদের সামনা-সামনি প্রতিক্রিয়া খুব জরুরি। এখন ডিজিটাল যুগে ইউটিউবে বা ফেসবুকে মন্তব্য করেই শেষ। সামনে থেকে একজন ভক্তের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে এর তুলনা হয় না।

সিনেমা থেকেও আপনি এখন দূরে। এর কারণ?

এটাও অনেকটা নাটকের মতোই। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। একটা গণ্ডিতে আমাকে বেঁধে দিলে সেখানে কাজের স্বাধীনতা থাকে না।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে মনে রাখার মতো একটি বিষয় জানতে চাই—

বিটিভিতে মামুনুর রশীদের ‘ইতিকথা’ শিরোনামে একটি নাটক প্রচার হতো। সেখানে দুটি চরিত্র ছিল কামাল ও জামাল। আমি জামাল চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেই জামাল চরিত্রটি মানুষের মধ্যে এমনটাই বাসা বেঁধেছে যে, এখনও অনেকে আমাকে দেখলে জামাল বলে ডাকেন। এটি সবার ভালোবাসার ফল।

নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?

নতুনদের বলতে চাই, যারা আসছেন শিখে আসুন। এখন শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ জায়গাটা খুব সহজ না। তাই টিকে থাকতে হলে জেনেই টিকে থাকতে হবে।

 এদেশের গুণী একজন অভিনেতা। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে বেশ শক্ত অবস্থান গড়েছেন তিনি। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে—

কেমন আছেন?

বেশ ভালো। সবকিছু নিয়ে ভালো যাচ্ছে।

অনেকদিন নাটকে আপনি নিয়মিত নেই। এর কারণ?

নাটক আমার কাছে শুধু পেশা নয়। ভালোবাসার একটি জায়গা। এই ভালোবাসার মধ্যেই আমার অনেকদিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনকার নাটক করে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারি না। কোন গল্পে কাজ করবো বা কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো! অনেকে শুধু হাসানোর চরিত্র নিয়ে আসেন। আমি সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ভালো কাজ হচ্ছে না এমনটা নয়। কিন্তু কাজের প্রতি যে মায়াটা ছিল সেটির অভাববোধ করি।

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন…

মাঝে মাঝে কিছু কাজ করছি। এছাড়া এনটিভির ‘হাসো’ শিরোনামের একটি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে কাজ করলাম।

খাওয়া-দাওয়ার’র একটি অনুষ্ঠান আপনি করতেন। ভিন্নরকম একটি অনুষ্ঠান। সেটির অভিজ্ঞতা একটু জানতে চাই—

দারুণ একটি কাজ ছিল। দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেতাম। অনেকে তো জিজ্ঞেস করতো আমি সত্যি এত খেতে পারি কি-না। দর্শকদের সামনা-সামনি প্রতিক্রিয়া খুব জরুরি। এখন ডিজিটাল যুগে ইউটিউবে বা ফেসবুকে মন্তব্য করেই শেষ। সামনে থেকে একজন ভক্তের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে এর তুলনা হয় না।

সিনেমা থেকেও আপনি এখন দূরে। এর কারণ?

এটাও অনেকটা নাটকের মতোই। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। একটা গণ্ডিতে আমাকে বেঁধে দিলে সেখানে কাজের স্বাধীনতা থাকে না।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে মনে রাখার মতো একটি বিষয় জানতে চাই—

বিটিভিতে মামুনুর রশীদের ‘ইতিকথা’ শিরোনামে একটি নাটক প্রচার হতো। সেখানে দুটি চরিত্র ছিল কামাল ও জামাল। আমি জামাল চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেই জামাল চরিত্রটি মানুষের মধ্যে এমনটাই বাসা বেঁধেছে যে, এখনও অনেকে আমাকে দেখলে জামাল বলে ডাকেন। এটি সবার ভালোবাসার ফল।

নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চান?

নতুনদের বলতে চাই, যারা আসছেন শিখে আসুন। এখন শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ জায়গাটা খুব সহজ না। তাই টিকে থাকতে হলে জেনেই টিকে থাকতে হবে।