বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বড় ও ছোট দুই পর্দারই জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। সম্প্রতি দুটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এছাড়া ছোট পর্দায় একাধিক ধারাবাহিক নাটক নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলচ্চিত্র, টিভি নাটক ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এ অভিনেতার সঙ্গে কথা হয় মানবজমিনের। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন এন আই বুলবুল
চুক্তিবদ্ধ হওয়া নতুন ছবি দুটি সম্পর্কে জানতে চাই।
নতুন বছরের শুরুতে সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’ ও শাহীন সুমনের ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আগামী মাসের শেষের দিকে ছবি দুটির শুটিং শুরু করবো। ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে অ্যাকশন হিরো হিসেবে দর্শকরা আমাকে দেখতে পাবেন। অন্য ছবিটিও ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নির্মাণ হবে।
ছবি দুটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছি। আগামী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত এ ছবির শুটিং করবো। মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘গাঙচিল’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ হচ্ছে এই চলচ্চিত্রটি। নোয়াখালীর একটি চর ও সেখানকার মানুষের জীবনের নানা গল্প উপন্যাসটির উপজীব্য।
এতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
এ ছবিতে আমি একজন চেয়ারম্যান। আমার এলাকার চেয়ারম্যান দুর্নীতিগ্রস্থ থাকেন। তার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আমার ঝামেলা লেগে থাকে। একসময় গ্রামের লোকজন আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে নির্বাচনে দাঁড় করায়। এর পর তৈরি হতে থাকে নানা জটিলতা। এভাবেই এর গল্প এগিয়েছে।
অনেকেই বলে আপনি চলচ্চিত্রে সঠিক জায়গা করতে পারছেন না। আপনার মন্তব্য কি?
নির্মাতারা আমাকে যেমন প্রয়োজন ছিল সেভাবে ব্যবহার করেছেন। প্রথম দিকে আমি টানা কিছু ছবিতে কাজ করেছি। মাঝে কিছুটা গ্যাপ ছিল। সেই সময়ে আমার মতো অনেকের হাতে ছবি ছিল না। তবে চলতি বছরে কয়েকটি ভালো ছবি উপহার দিতে পারবো।
আপনি নিজেকে কোন পর্দার নায়ক ভাবেন?
আমি নিজেকে দুই পর্দারই অভিনেতা ভাবি। দুই পর্দাতেই আমার দর্শক আছেন। এছাড়া একজন অভিনেতার কখনো পর্দা ভাগ করা ঠিক না। তার কাছে চরিত্রটাই মুখ্য হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমাদের অনেকেই পর্দা ভাগ করেন। সেটি তাদের একান্ত নিজস্ব চিন্তা ভাবনা।
ভালোবাসা দিবসের জন্য কোনো নাটকে কাজ করেছেন?
না, এখনো কোনো কাজ করা হয়ে ওঠেনি। আমি চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় একক নাটকে তেমন কাজ করা হচ্ছে না।
টিভি ধারাবাহিকে ব্যস্ততা কেমন?
রাজু খানের ‘মধ্যবর্তিনী-২’, ফরিদুল হাসানের ‘লাকী থার্টিন’, সঞ্জিত সরকারের ‘চিটিং মাস্টার’, আল হাজেনের ‘হুলস্থুল’, কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর’ ও কিরনের ‘টিপু সুলতান’সহ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। এগুলো ছাড়া নতুন ধারাবাহিকের বিষয়েও কথা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন রয়েছে সিন্ডিকেটের মধ্য দিয়ে একক নাটক নির্মাণ হচ্ছে। আপনি কি বলবেন এ বিষয়ে?
আমি বিষয়টিকে এভাবে বলতে চাই না। তবে আমার মনে হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায় যাদের ভিউ বা ফলোয়ার বেশি তাদের নিয়ে এখন বেশি কাজ হচ্ছে। মেধাবীদের মূল্য না দিয়ে ভিউকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা একদিন মেধাশুন্য হয়ে যাবো। একটা সময় দর্শক হয়তো ভিউ আর্টিস্টদের আর দেখতে চাইবে না। তখন নির্মাতারা মেধাবী শিল্পীদেরও পাবে না।
অভিনয় শিল্পী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন আপনি। নতুন বছরে আপনাদের কার্যক্রম কি?
রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি মাধ্যমে কিছু নিয়মনীতি আছে। কিন্তু আমাদের এই মাধ্যমটি দীর্ঘদিন অগোছালো ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে কিছু নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেছি। এই যেমন সঠিক সময়ে শুটিং স্পটে উপস্থিত হওয়া, চুক্তিপত্র করে শুটিং করা প্রভৃতি। চলতি বছরে আমাদের আরো কিছু কার্যক্রম হাতে আছে।