ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্ট্রবেরি চাষে আশার আলো

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ঝিনাইদহে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ফল উৎপাদিত হচ্ছে। সদর উপজেলা ও কালীগঞ্জে চাষিরা পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্রবেরির চাষ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, স্ট্রবেরির নার্সারি এলাকার বেকার যুবকদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।

কালীগঞ্জ উপজেলার স্বপন জানান, বীজ ভান্ডারের সহযোগিতায় মুনসেন কোম্পানির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে জয়পুরহাট থেকে তিনি স্ট্রবেরির চারা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি চারা ২০ টাকা দরে ক্রয় করে ১৭ শতক জমিতে প্রায় ৩ হাজার চারা রোপণ করেছেন। চাষাবাদ, চারা রোপণ, পানি সেঁচ, খেতের বেড়াসহ পরিচর্যায় ১৭ শতকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১০/১২টি ফল পাওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, এবারের ফল থেকে চারা তৈরি করবেন। আগামী মৌসুমে নিজের উৎপাদিত চারা দিয়ে ২/৩ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করবেন। সময়মতো চাষ করলে অন্য ফসলের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

স্বপন জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে প্রতি কেজি স্ট্রবেরি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।

সদর উপজেলার স্ট্রবেরির চাষ দেখে অনেকে এর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে স্ট্রবেরি নার্সারি করার পরিকল্পনা আছে এলাকার চাষিদের। স্ট্রবেরির নার্সারি এলাকার বেকার যুবকদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্য চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, চাষিরা স্ট্রবেরি চাষে এগিয়ে এলে উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। স্ট্রবেরি ফল চাষের কারণে অচিরেই এলাকার অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। স্বুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফলটির চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাছাড়া সরকারি সহযোগিতা পেলে, ফলটি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ঝিনাইদহে স্ট্রবেরি চাষে আশার আলো

আপডেট টাইম : ০২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ঝিনাইদহে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ফল উৎপাদিত হচ্ছে। সদর উপজেলা ও কালীগঞ্জে চাষিরা পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্রবেরির চাষ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, স্ট্রবেরির নার্সারি এলাকার বেকার যুবকদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।

কালীগঞ্জ উপজেলার স্বপন জানান, বীজ ভান্ডারের সহযোগিতায় মুনসেন কোম্পানির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে জয়পুরহাট থেকে তিনি স্ট্রবেরির চারা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি চারা ২০ টাকা দরে ক্রয় করে ১৭ শতক জমিতে প্রায় ৩ হাজার চারা রোপণ করেছেন। চাষাবাদ, চারা রোপণ, পানি সেঁচ, খেতের বেড়াসহ পরিচর্যায় ১৭ শতকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১০/১২টি ফল পাওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, এবারের ফল থেকে চারা তৈরি করবেন। আগামী মৌসুমে নিজের উৎপাদিত চারা দিয়ে ২/৩ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করবেন। সময়মতো চাষ করলে অন্য ফসলের তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

স্বপন জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে প্রতি কেজি স্ট্রবেরি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব।

সদর উপজেলার স্ট্রবেরির চাষ দেখে অনেকে এর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে স্ট্রবেরি নার্সারি করার পরিকল্পনা আছে এলাকার চাষিদের। স্ট্রবেরির নার্সারি এলাকার বেকার যুবকদের কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্য চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, চাষিরা স্ট্রবেরি চাষে এগিয়ে এলে উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। স্ট্রবেরি ফল চাষের কারণে অচিরেই এলাকার অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। স্বুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফলটির চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাছাড়া সরকারি সহযোগিতা পেলে, ফলটি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।