ঢাকা , বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যেসব খাবার

চৈত্র মাসের তপ্ত গরমের মৌসুম চলছে। যাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, তাদের জন্য কষ্ট তো হয়ই, বরং, যারা বাড়িতে থাকেন তাদের জন্যও এই গরম অসহনীয় হতে পারে। এত গরমে শুধু পানি পান করাই স্বস্তির জন্য পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। তবে, খাবারের মাধ্যমে শরীরে শীতল অনুভূতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য খাদ্য তালিকা প্রস্তুতের সময় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

সীমিত প্রোটিন এবং শীতল খাবার:

গরুর মাংস এবং খাসির মাংসের মতো মাংস হজমের সময় এতে থাকা চর্বির আধিক্যের কারণে বিপাকের সময় শরীরে অনেক তাপ উৎপন্ন করে। এতে গরম অনুভূতি বাড়ার পাশাপাশি, অলস বোধও করাতে পারে। এর বদলে নিম্ন আমিষ খাবার যেমন দই, মসুর ডাল এবং মাছ খাবেন। যা আমিষের অভাবও পূরণ করবে এবং হজম করাও সহজ।

এছাড়া গ্রীষ্মকালীন পানিসমৃদ্ধ ফল যেমন- তরমুজ, কমলা, লিচু, বাঙ্গীর মতো মৌসুমী ফল খাওয়া উচিত। এসব খাবার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে, তাছাড়া ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। শাকসবজি, শসা এবং টমেটোও প্রতিদিনের প্রধান খাদ্য হওয়া উচিত। এসব হজমেও উপকার হয়ে এবং এমন খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

খাবার ও বরফ-ঠাণ্ডা পানীয়:

খাবারের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে হজমের গতি কমে যেতে পারে। ঠান্ডা পানীয় পেটে চর্বি জমা করে, যার ফলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।

দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রোবায়োটিক:

অন্ত্র সুস্থ এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে, বিশেষজ্ঞরা দুগ্ধজাত এবং প্রোবায়োটিক সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে, দই এবং বাটারমিল্ক কেবল হজমে সাহায্যই করে না, বরং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল করতে পারে।

ক্যাফেইন এবং চিনিযুক্ত পানীয়:

বরফ সম্পন্ন কফি এবং কোমলপানীয় সাময়িক স্বস্তি দিলেও, শরীরকে পানিশূন্য করে দিতে পারে। ক্যাফিনেটেড এবং চিনিযুক্ত পানীয় শরীর থেকে উপকারী তরল পদার্থ বের করে দেয়। পরিবর্তে, ভেষজ চা এবং তাজা উপাদানের শরবত খাওয়া ভালো।

সময় অনুযায়ী খাবার:

দিনের কোন সময় তাপমাত্রা কেমন সেই অনুযায়ী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভোরে বা সন্ধ্যার দিকে তখন তাপমাত্রা শীতল থাকবে তখন ভারী খাবার খেতে পারেন। দুপুরে যখন গরম বেশি থাকে তখন অলসতা এড়াতে খাবার হালকা রাখুন। এছাড়া কড়া রোদে না যাওয়া এবং দুপুরে অতিরিক্ত পরিশ্রম না করার চেষ্টা করুন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যেসব খাবার

আপডেট টাইম : ১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

চৈত্র মাসের তপ্ত গরমের মৌসুম চলছে। যাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, তাদের জন্য কষ্ট তো হয়ই, বরং, যারা বাড়িতে থাকেন তাদের জন্যও এই গরম অসহনীয় হতে পারে। এত গরমে শুধু পানি পান করাই স্বস্তির জন্য পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। তবে, খাবারের মাধ্যমে শরীরে শীতল অনুভূতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য খাদ্য তালিকা প্রস্তুতের সময় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

সীমিত প্রোটিন এবং শীতল খাবার:

গরুর মাংস এবং খাসির মাংসের মতো মাংস হজমের সময় এতে থাকা চর্বির আধিক্যের কারণে বিপাকের সময় শরীরে অনেক তাপ উৎপন্ন করে। এতে গরম অনুভূতি বাড়ার পাশাপাশি, অলস বোধও করাতে পারে। এর বদলে নিম্ন আমিষ খাবার যেমন দই, মসুর ডাল এবং মাছ খাবেন। যা আমিষের অভাবও পূরণ করবে এবং হজম করাও সহজ।

এছাড়া গ্রীষ্মকালীন পানিসমৃদ্ধ ফল যেমন- তরমুজ, কমলা, লিচু, বাঙ্গীর মতো মৌসুমী ফল খাওয়া উচিত। এসব খাবার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে, তাছাড়া ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। শাকসবজি, শসা এবং টমেটোও প্রতিদিনের প্রধান খাদ্য হওয়া উচিত। এসব হজমেও উপকার হয়ে এবং এমন খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

খাবার ও বরফ-ঠাণ্ডা পানীয়:

খাবারের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে হজমের গতি কমে যেতে পারে। ঠান্ডা পানীয় পেটে চর্বি জমা করে, যার ফলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।

দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রোবায়োটিক:

অন্ত্র সুস্থ এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে, বিশেষজ্ঞরা দুগ্ধজাত এবং প্রোবায়োটিক সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে, দই এবং বাটারমিল্ক কেবল হজমে সাহায্যই করে না, বরং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল করতে পারে।

ক্যাফেইন এবং চিনিযুক্ত পানীয়:

বরফ সম্পন্ন কফি এবং কোমলপানীয় সাময়িক স্বস্তি দিলেও, শরীরকে পানিশূন্য করে দিতে পারে। ক্যাফিনেটেড এবং চিনিযুক্ত পানীয় শরীর থেকে উপকারী তরল পদার্থ বের করে দেয়। পরিবর্তে, ভেষজ চা এবং তাজা উপাদানের শরবত খাওয়া ভালো।

সময় অনুযায়ী খাবার:

দিনের কোন সময় তাপমাত্রা কেমন সেই অনুযায়ী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভোরে বা সন্ধ্যার দিকে তখন তাপমাত্রা শীতল থাকবে তখন ভারী খাবার খেতে পারেন। দুপুরে যখন গরম বেশি থাকে তখন অলসতা এড়াতে খাবার হালকা রাখুন। এছাড়া কড়া রোদে না যাওয়া এবং দুপুরে অতিরিক্ত পরিশ্রম না করার চেষ্টা করুন।