ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

সাইফুরকে টপকাতে মুহিতের দরকার আরো দুই

বাংলাদেশে ৪৫ তম বাজেট পেশ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটে ঘোষণা হয়েছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার । ৪৪ বছরে এই বাজেট ৪৩২ গুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করবেন।

এবার নিয়ে টানা আটবার বাজেট পেশের রেকর্ড গড়তে চলেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তার আগে টানা আটবার বাজেট করার সুযোগ পননি অন্য কোনো অর্থমন্ত্রী। এর আড়ে টানা ৬ বছর বাজেট করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।

অবশ্য এখন পর্যন্ত বিএনপির এম সাইফুর রহমানের গড়া সর্বাধিক বাজেটের রেকর্ড টপকাতে পারেননি আবুল মাল অাবদুল মুহিত। এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই বছর।

বিএনপির হয়ে প্রয়াত এম সাইফুর রহমান বাজেট দিয়েছেন ১২টি। এর ১০টি খালেদা জিয়ার শাসনামলে। এবং বাকি দুটির একটি জিয়াউর রহমানের ও অপরটি বিচারপতি এম এ সাত্তারের শাসনামলে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল ‍আবদুল মুহিত এবার নিয়ে তিনি বাজেট দিয়েছেন ১০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে ছয়টি এবং জাতীয় পার্টির হয়ে দুটি।

আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছয়টি বাজেট পেশ করেন। চার বার বাজেট দিয়েছেন এরশাদ সরকারের হয়ে অর্থমন্ত্রী এম সায়েদুজ্জামান।দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাজেট পেশ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিন বছর। এছাড়া তিন বছর জাতীয় বাজেট পেশ করেন জিয়াউর রহমান। দুই বার সামরিক শাসক প্রধান হিসেবে, একবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাজেট দেন তিনি।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দুই বার বাজেট দেন মির্জা আজিজুল ইসলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপর অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ একটি বাজেট দেন।

এছাড়া যারা একটি করে বাজেট দেন তারা হচ্ছেন-মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ড. এম এন হুদা ও ড. আজিজুর রহমান।

একনজরে ৪৫টি জাতীয় বাজেট:

সাইফুরকে টপকাতে মুহিতের দরকার আরো দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: বাংলাদেশে ৪৫ তম বাজেট পেশ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটে ঘোষণা হয়েছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার । ৪৪ বছরে এই বাজেট ৪৩২ গুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করবেন।

এবার নিয়ে টানা আটবার বাজেট পেশের রেকর্ড গড়তে চলেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তার আগে টানা আটবার বাজেট করার সুযোগ পননি অন্য কোনো অর্থমন্ত্রী। এর আড়ে টানা ৬ বছর বাজেট করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।

অবশ্য এখন পর্যন্ত বিএনপির এম সাইফুর রহমানের গড়া সর্বাধিক বাজেটের রেকর্ড টপকাতে পারেননি আবুল মাল অাবদুল মুহিত। এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই বছর।

বিএনপির হয়ে প্রয়াত এম সাইফুর রহমান বাজেট দিয়েছেন ১২টি। এর ১০টি খালেদা জিয়ার শাসনামলে। এবং বাকি দুটির একটি জিয়াউর রহমানের ও অপরটি বিচারপতি এম এ সাত্তারের শাসনামলে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল ‍আবদুল মুহিত এবার নিয়ে তিনি বাজেট দিয়েছেন ১০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে ছয়টি এবং জাতীয় পার্টির হয়ে দুটি।

আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছয়টি বাজেট পেশ করেন। চার বার বাজেট দিয়েছেন এরশাদ সরকারের হয়ে অর্থমন্ত্রী এম সায়েদুজ্জামান।দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাজেট পেশ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিন বছর। এছাড়া তিন বছর জাতীয় বাজেট পেশ করেন জিয়াউর রহমান। দুই বার সামরিক শাসক প্রধান হিসেবে, একবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাজেট দেন তিনি।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দুই বার বাজেট দেন মির্জা আজিজুল ইসলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপর অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ একটি বাজেট দেন।

এছাড়া যারা একটি করে বাজেট দেন তারা হচ্ছেন-মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ড. এম এন হুদা ও ড. আজিজুর রহমান।

একনজরে ৪৫টি জাতীয় বাজেট:
১৯৭২-’৭৩ তাজউদ্দিন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৭৩-’৭৪ তাজউদ্দিন আহমেদ ৯৯৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-’৭৫ তাজউদ্দিন আহমেদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮ লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮ লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৯-’৮০ ড. এম এন হুদা ৩৩১৭ কোটি টাকা
১৯৮০-’৮১ এম সাইফুর রহমান ৪১০৮ কোটি টাকা
১৯৮১-’৮২ এম সাইফুর রহমান ৪৬৭৭ কোটি টাকা
১৯৮২-’৮৩ এ এম এ মুহিত ৪৭৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৩-’৮৪ এ এম এ মুহিত ৫৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৪-’৮৫ এম সায়েদুজ্জামান ৬৬৯৯ কোটি টাকা
১৯৮৫-’৮৬ এম সায়েদুজ্জামান ৭১৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৬-’৮৭ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫০৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-’৮৮ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকা
১৯৮৮-’৮৯ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০৫৬৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-’৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২৭০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-’৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২৯৬০ কোটি টাকা
১৯৯১-’৯২ এম সাইফুর রহমান ১৫৫৮৪ কোটি টাকা
১৯৯২-’৯৩ এম সাইফুর রহমান ১৭৬০৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-’৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯০৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-’৯৫ এম সাইফুর রহমান ২০৯৪৮ কোটি টাকা
১৯৯৫-’৯৬ এম সাইফুর রহমান ২৩১৭০ কোটি টাকা
১৯৯৬-’৯৭ এসএএমএস কিবরিয়া ২৪৬০৩ কোটি টাকা
১৯৯৭-’৯৮ এসএএমএস কিবরিয়া ২৭৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৯৮-’৯৯ এসএএমএস কিবরিয়া ২৯৫৩৭ কোটি টাকা
১৯৯৯-’০০ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪২৫২ কোটি টাকা
২০০০-’০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮৫২৪ কোটি টাকা
২০০১-’০২ এসএএমএস কিবরিয়া ৪২৩০৬ কোটি টাকা
২০০২-’০৩ এম সাইফুর রহমান ৪৪৮৫৪ কোটি টাকা
২০০৩-’০৪ এম সাইফুর রহমান ৫১৯৮০ কোটি টাকা
২০০৪-’০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭২৪৮ কোটি টাকা
২০০৫-’০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১০৫৮ কোটি টাকা
২০০৬-’০৭ এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকা
২০০৭-’০৮ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৮-’০৯ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৯-১০ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১১৩,৮১৫ কোটি টাকা
২০১০-১১ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৩২,১৭০ কোটি টাকা
২০১১-১২ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৬৫,০০০ কোটি টাকা
২০১২-১৩ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা
২০১৪-১৫ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা
২০১৫-১৬ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা
২০১৬-১৭ আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা (সম্ভাব্য)

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

সাইফুরকে টপকাতে মুহিতের দরকার আরো দুই

আপডেট টাইম : ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০১৬

বাংলাদেশে ৪৫ তম বাজেট পেশ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটে ঘোষণা হয়েছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার । ৪৪ বছরে এই বাজেট ৪৩২ গুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করবেন।

এবার নিয়ে টানা আটবার বাজেট পেশের রেকর্ড গড়তে চলেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তার আগে টানা আটবার বাজেট করার সুযোগ পননি অন্য কোনো অর্থমন্ত্রী। এর আড়ে টানা ৬ বছর বাজেট করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।

অবশ্য এখন পর্যন্ত বিএনপির এম সাইফুর রহমানের গড়া সর্বাধিক বাজেটের রেকর্ড টপকাতে পারেননি আবুল মাল অাবদুল মুহিত। এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই বছর।

বিএনপির হয়ে প্রয়াত এম সাইফুর রহমান বাজেট দিয়েছেন ১২টি। এর ১০টি খালেদা জিয়ার শাসনামলে। এবং বাকি দুটির একটি জিয়াউর রহমানের ও অপরটি বিচারপতি এম এ সাত্তারের শাসনামলে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল ‍আবদুল মুহিত এবার নিয়ে তিনি বাজেট দিয়েছেন ১০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে ছয়টি এবং জাতীয় পার্টির হয়ে দুটি।

আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছয়টি বাজেট পেশ করেন। চার বার বাজেট দিয়েছেন এরশাদ সরকারের হয়ে অর্থমন্ত্রী এম সায়েদুজ্জামান।দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাজেট পেশ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিন বছর। এছাড়া তিন বছর জাতীয় বাজেট পেশ করেন জিয়াউর রহমান। দুই বার সামরিক শাসক প্রধান হিসেবে, একবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাজেট দেন তিনি।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দুই বার বাজেট দেন মির্জা আজিজুল ইসলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপর অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ একটি বাজেট দেন।

এছাড়া যারা একটি করে বাজেট দেন তারা হচ্ছেন-মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ড. এম এন হুদা ও ড. আজিজুর রহমান।

একনজরে ৪৫টি জাতীয় বাজেট:

সাইফুরকে টপকাতে মুহিতের দরকার আরো দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: বাংলাদেশে ৪৫ তম বাজেট পেশ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটে ঘোষণা হয়েছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকার । ৪৪ বছরে এই বাজেট ৪৩২ গুণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করবেন।

এবার নিয়ে টানা আটবার বাজেট পেশের রেকর্ড গড়তে চলেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তার আগে টানা আটবার বাজেট করার সুযোগ পননি অন্য কোনো অর্থমন্ত্রী। এর আড়ে টানা ৬ বছর বাজেট করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।

অবশ্য এখন পর্যন্ত বিএনপির এম সাইফুর রহমানের গড়া সর্বাধিক বাজেটের রেকর্ড টপকাতে পারেননি আবুল মাল অাবদুল মুহিত। এজন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরো দুই বছর।

বিএনপির হয়ে প্রয়াত এম সাইফুর রহমান বাজেট দিয়েছেন ১২টি। এর ১০টি খালেদা জিয়ার শাসনামলে। এবং বাকি দুটির একটি জিয়াউর রহমানের ও অপরটি বিচারপতি এম এ সাত্তারের শাসনামলে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল ‍আবদুল মুহিত এবার নিয়ে তিনি বাজেট দিয়েছেন ১০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে ছয়টি এবং জাতীয় পার্টির হয়ে দুটি।

আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছয়টি বাজেট পেশ করেন। চার বার বাজেট দিয়েছেন এরশাদ সরকারের হয়ে অর্থমন্ত্রী এম সায়েদুজ্জামান।দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাজেট পেশ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিন বছর। এছাড়া তিন বছর জাতীয় বাজেট পেশ করেন জিয়াউর রহমান। দুই বার সামরিক শাসক প্রধান হিসেবে, একবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাজেট দেন তিনি।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দুই বার বাজেট দেন মির্জা আজিজুল ইসলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপর অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ একটি বাজেট দেন।

এছাড়া যারা একটি করে বাজেট দেন তারা হচ্ছেন-মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ড. এম এন হুদা ও ড. আজিজুর রহমান।

একনজরে ৪৫টি জাতীয় বাজেট:
১৯৭২-’৭৩ তাজউদ্দিন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৭৩-’৭৪ তাজউদ্দিন আহমেদ ৯৯৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-’৭৫ তাজউদ্দিন আহমেদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮ লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৫-’৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-’৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-’৭৮ লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-’৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৯-’৮০ ড. এম এন হুদা ৩৩১৭ কোটি টাকা
১৯৮০-’৮১ এম সাইফুর রহমান ৪১০৮ কোটি টাকা
১৯৮১-’৮২ এম সাইফুর রহমান ৪৬৭৭ কোটি টাকা
১৯৮২-’৮৩ এ এম এ মুহিত ৪৭৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৩-’৮৪ এ এম এ মুহিত ৫৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৪-’৮৫ এম সায়েদুজ্জামান ৬৬৯৯ কোটি টাকা
১৯৮৫-’৮৬ এম সায়েদুজ্জামান ৭১৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৬-’৮৭ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫০৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-’৮৮ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকা
১৯৮৮-’৮৯ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০৫৬৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-’৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২৭০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-’৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২৯৬০ কোটি টাকা
১৯৯১-’৯২ এম সাইফুর রহমান ১৫৫৮৪ কোটি টাকা
১৯৯২-’৯৩ এম সাইফুর রহমান ১৭৬০৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-’৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯০৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-’৯৫ এম সাইফুর রহমান ২০৯৪৮ কোটি টাকা
১৯৯৫-’৯৬ এম সাইফুর রহমান ২৩১৭০ কোটি টাকা
১৯৯৬-’৯৭ এসএএমএস কিবরিয়া ২৪৬০৩ কোটি টাকা
১৯৯৭-’৯৮ এসএএমএস কিবরিয়া ২৭৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৯৮-’৯৯ এসএএমএস কিবরিয়া ২৯৫৩৭ কোটি টাকা
১৯৯৯-’০০ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪২৫২ কোটি টাকা
২০০০-’০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮৫২৪ কোটি টাকা
২০০১-’০২ এসএএমএস কিবরিয়া ৪২৩০৬ কোটি টাকা
২০০২-’০৩ এম সাইফুর রহমান ৪৪৮৫৪ কোটি টাকা
২০০৩-’০৪ এম সাইফুর রহমান ৫১৯৮০ কোটি টাকা
২০০৪-’০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭২৪৮ কোটি টাকা
২০০৫-’০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১০৫৮ কোটি টাকা
২০০৬-’০৭ এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকা
২০০৭-’০৮ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৮-’০৯ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৯-১০ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১১৩,৮১৫ কোটি টাকা
২০১০-১১ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৩২,১৭০ কোটি টাকা
২০১১-১২ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৬৫,০০০ কোটি টাকা
২০১২-১৩ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা
২০১৪-১৫ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা
২০১৫-১৬ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা
২০১৬-১৭ আবুল মাল আবদুল মুহিত, ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা (সম্ভাব্য)