ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্তমানে তার ৩৫ সন্তান ও তিন স্ত্রী, তবুও চতুর্থ বিয়ের পাত্রী খুঁজছেন তিনি

সর্দার জান মুহাম্মদ খিলজি, তিনি একজন পাকিস্তানি। বর্তমানে তার তিন স্ত্রী ও ৩৫টি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার। এরপরও এই ব্যক্তি চতুর্থ বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছেন! তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য, শত সন্তানের জনক হওয়া।

৪৬ বছর বয়সী খিলজি পেশায় ‘মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান’। থাকেন বালুচিস্তানের কোয়েটার কাছে, পাঁচ কামরার একটি মাটির বাড়িতে। তিনি জানান, ৩৫টি সন্তানের নাম তিনি কখনও গুলিয়ে ফেলেন না। তিন স্ত্রীয়ের মধ্যেও কখনও ঝগড়া হয় না! যদিও সাংবাদিকেরা তার ঘরণীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পাননি।

তার


কথায়, ‘আমার যখন ২৬ বছর বয়স, তখন প্রথম বিয়ে করি। পরের বছর পাঁচ মাসের মধ্যে দুই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’ ৩৫টি সন্তান জানকে যে খ্যাতি দিয়েছে, তাতেই নাকি তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একাধিক বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন।

জানের এই ‘মহৎ উদ্দেশ্য’ নিয়ে উদ্বেলিত দুই সন্তান। জানের বড় কন্যা শাগুফতা নাসরিনের বয়স ১৫ বছর। বড় পরিবার বলতে সে বোঝে ‘আল্লাহ্‌র দেওয়া এক ঝুড়ি আম’। আর বাবাকে অনুসরণ করে জানের বড় ছেলে ১৩ বছরের মহম্মদ এশাও ভবিষ্যতে জন্ম দিতে চায় শতাধিক সন্তানের!

কিন্তু ৩৯ জনের সংসার জান একা চালান কী করে? সংসারপালনে তার মাসিক খরচ হওয়ার কথা অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার রুপি। কিন্তু বাড়িতে ছোট ডাক্তারখানা এবং একটি স্কুল চালিয়ে এত রুপি জোগাড় হয়? জান অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। শুধু জানিয়েছেন, রোগী পিছু তিনি ২৫০ রুপি নেন। তার স্কুলেও অন্তত ৪০০ জন পড়াশোনা করে।

শতপুত্রের জনক হলে তো জানের সংসারে আরও ৬৬ জন লোক বাড়বে। তখন কী হবে? ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন জান। তবে এখনও পর্যন্ত তার ‘জনবৃদ্ধি-যোজনায়’ সাড়া দেয়নি সরকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমানে তার ৩৫ সন্তান ও তিন স্ত্রী, তবুও চতুর্থ বিয়ের পাত্রী খুঁজছেন তিনি

আপডেট টাইম : ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০১৬

সর্দার জান মুহাম্মদ খিলজি, তিনি একজন পাকিস্তানি। বর্তমানে তার তিন স্ত্রী ও ৩৫টি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার। এরপরও এই ব্যক্তি চতুর্থ বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছেন! তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য, শত সন্তানের জনক হওয়া।

৪৬ বছর বয়সী খিলজি পেশায় ‘মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান’। থাকেন বালুচিস্তানের কোয়েটার কাছে, পাঁচ কামরার একটি মাটির বাড়িতে। তিনি জানান, ৩৫টি সন্তানের নাম তিনি কখনও গুলিয়ে ফেলেন না। তিন স্ত্রীয়ের মধ্যেও কখনও ঝগড়া হয় না! যদিও সাংবাদিকেরা তার ঘরণীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পাননি।

তার


কথায়, ‘আমার যখন ২৬ বছর বয়স, তখন প্রথম বিয়ে করি। পরের বছর পাঁচ মাসের মধ্যে দুই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’ ৩৫টি সন্তান জানকে যে খ্যাতি দিয়েছে, তাতেই নাকি তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একাধিক বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন।

জানের এই ‘মহৎ উদ্দেশ্য’ নিয়ে উদ্বেলিত দুই সন্তান। জানের বড় কন্যা শাগুফতা নাসরিনের বয়স ১৫ বছর। বড় পরিবার বলতে সে বোঝে ‘আল্লাহ্‌র দেওয়া এক ঝুড়ি আম’। আর বাবাকে অনুসরণ করে জানের বড় ছেলে ১৩ বছরের মহম্মদ এশাও ভবিষ্যতে জন্ম দিতে চায় শতাধিক সন্তানের!

কিন্তু ৩৯ জনের সংসার জান একা চালান কী করে? সংসারপালনে তার মাসিক খরচ হওয়ার কথা অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার রুপি। কিন্তু বাড়িতে ছোট ডাক্তারখানা এবং একটি স্কুল চালিয়ে এত রুপি জোগাড় হয়? জান অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। শুধু জানিয়েছেন, রোগী পিছু তিনি ২৫০ রুপি নেন। তার স্কুলেও অন্তত ৪০০ জন পড়াশোনা করে।

শতপুত্রের জনক হলে তো জানের সংসারে আরও ৬৬ জন লোক বাড়বে। তখন কী হবে? ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন জান। তবে এখনও পর্যন্ত তার ‘জনবৃদ্ধি-যোজনায়’ সাড়া দেয়নি সরকার।