ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০০ টাকার বিনিময়ে বউকে বন্ধক রাখল স্বামী

ব্যাঙ্কে সোনা বাঁধা রাখুন, ধারে টাকা পাবেন। মহাজনের কাছে জমি বাঁধা রাখুন, ধারে টাকা পাবেন। বাড়ি, গাড়ি, বাসন-কোসন প্রয়োজন পড়লে সবকিছুই বাঁধা রাখতে পারেন। কিন্তু তা বলে বউ ! বলি বউকে বন্ধক রাখার কথা শুনেছেন কখনও।

 

এযুগে সবই হয়। তাই বউকে বাঁধা রাখার মতো ঘটনাও ঘটে। নববিবাহিত স্ত্রীকে বন্ধক রেখেছে যে ‘কীর্তিমান’,তার নাম লিটন আলি ওরফে ফকির। ঘটনা বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার সৈয়দপুরের তেলিপাড়া গ্রামের।

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথম স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে ফকির দ্বিতীয় বিয়ে করে। শুরু করে সংসারও। সোহাগে-আদরে-ঝগড়ায় যখন সংসারের বেশ বাড়বাড়ন্ত, প্রথম স্ত্রী জানান, বাড়ি আসবেন তিনি। ব্যাস, মাথায় হাজার ফিটের পাহাড় ভেঙে পড়ে ফকিরের। এবার কী হবে ?

 

বিদ্যুতের চমকানির মতো বুদ্ধি খেলে যায় ফকিরের মাথায়। আজব মতলব আঁটে ফকির। পরিচিত একজনের কাছে বউকে বন্ধক রাখার ছক কষে সে। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। এমনি এমনি নয় কড়কড়ে ৫০০ টাকা নিয়ে বউকে বন্ধক রেখে ঘরে ফিরে আসে সে।

 

ছবি এখনও বাকি। কিছুদিন পর বউকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মাথায় হাত ফকিরের। বউ যে বলে আর ফিরবে না। কেন, বউকে যার কাছে বন্ধক দিয়ে এসেছিল ফকির, তার সঙ্গেই স্ত্রীর এখন ভাব-ভালোবাসা। বিপত্নীক ওই ব্যক্তিকেই বিয়ে করতে চান তিনি। ব্যক্তিও সুযোগ ছাড়তে নারাজ। আসলের সঙ্গে সুদ আর কেই বা ছাড়তে চায় বলুন !

 

ঘটনায় এলাকাতেও বেশ তোলপাড়। এলাকার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আফজ়ল হোসেন বলেন, “লিটন ফকিরের অপরাধ অমার্জনীয়। তাঁর বউ যা করেছে, তাও ঠিক হয়নি। বিয়ে না করে সে কীভাবে অন্যের বাড়িতে আছে, তাও বোধগম্য নয়।”
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৫০০ টাকার বিনিময়ে বউকে বন্ধক রাখল স্বামী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬
ব্যাঙ্কে সোনা বাঁধা রাখুন, ধারে টাকা পাবেন। মহাজনের কাছে জমি বাঁধা রাখুন, ধারে টাকা পাবেন। বাড়ি, গাড়ি, বাসন-কোসন প্রয়োজন পড়লে সবকিছুই বাঁধা রাখতে পারেন। কিন্তু তা বলে বউ ! বলি বউকে বন্ধক রাখার কথা শুনেছেন কখনও।

 

এযুগে সবই হয়। তাই বউকে বাঁধা রাখার মতো ঘটনাও ঘটে। নববিবাহিত স্ত্রীকে বন্ধক রেখেছে যে ‘কীর্তিমান’,তার নাম লিটন আলি ওরফে ফকির। ঘটনা বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার সৈয়দপুরের তেলিপাড়া গ্রামের।

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথম স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে ফকির দ্বিতীয় বিয়ে করে। শুরু করে সংসারও। সোহাগে-আদরে-ঝগড়ায় যখন সংসারের বেশ বাড়বাড়ন্ত, প্রথম স্ত্রী জানান, বাড়ি আসবেন তিনি। ব্যাস, মাথায় হাজার ফিটের পাহাড় ভেঙে পড়ে ফকিরের। এবার কী হবে ?

 

বিদ্যুতের চমকানির মতো বুদ্ধি খেলে যায় ফকিরের মাথায়। আজব মতলব আঁটে ফকির। পরিচিত একজনের কাছে বউকে বন্ধক রাখার ছক কষে সে। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। এমনি এমনি নয় কড়কড়ে ৫০০ টাকা নিয়ে বউকে বন্ধক রেখে ঘরে ফিরে আসে সে।

 

ছবি এখনও বাকি। কিছুদিন পর বউকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মাথায় হাত ফকিরের। বউ যে বলে আর ফিরবে না। কেন, বউকে যার কাছে বন্ধক দিয়ে এসেছিল ফকির, তার সঙ্গেই স্ত্রীর এখন ভাব-ভালোবাসা। বিপত্নীক ওই ব্যক্তিকেই বিয়ে করতে চান তিনি। ব্যক্তিও সুযোগ ছাড়তে নারাজ। আসলের সঙ্গে সুদ আর কেই বা ছাড়তে চায় বলুন !

 

ঘটনায় এলাকাতেও বেশ তোলপাড়। এলাকার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আফজ়ল হোসেন বলেন, “লিটন ফকিরের অপরাধ অমার্জনীয়। তাঁর বউ যা করেছে, তাও ঠিক হয়নি। বিয়ে না করে সে কীভাবে অন্যের বাড়িতে আছে, তাও বোধগম্য নয়।”