‘বাংলাদেশে এ ধরনের হামলা আমি চিন্তাও করতে পারি না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটি সহনশীল উদারনৈতিক দেশ হবে।’ রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এক বার্তায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একথা বলেন।
বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের অবশ্যই আন্তরিকতার সঙ্গে দেশে এ ধরনের সহিংসতার উৎসমুখ খুঁজতে হবে। তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড. ইউনূস আরও বলেন, প্রত্যেকের অংশগ্রহণে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবাই ভয়ভীতি বা বাধা ছাড়াই সব সুযোগ পাবে, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার পাবে। সমতা ও মর্যাদার উদীয়মান নতুন পৃথিবীর অংশীদার হতে চাই আমরা।’
নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘একই মূল্যবোধ আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে চাই। সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনতে কাজ করুন। কোনো একটি দেশে বা অঞ্চলে সহিংসতা, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের স্থান হবে না।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘শক্তিধর দেশগুলোর প্রতি আমার আবেদন, অনুগ্রহ করে আপনারা নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে যান, যাতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসে এবং আমরা বিশ্বব্যাপী শহর ও সম্প্রদায়ে শান্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারি। মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বন্ধ করে অবিলম্বে শান্তি আনতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও শক্তিধর দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আমি সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানের রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশী-বিদেশী নাগরিকদের জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিদের হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।
ওই রেস্তোরাঁয় হামলা ও জিম্মি ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেখানে অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী।
অভিযানে সেখান থেকে তিন বিদেশীসহ ১৩ জনকে জীবিত ও ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ইতালীয় নয়জন, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশী, ভারতীয় একজন রয়েছেন। বাকি ছয়জন হামলাকারী বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।