চলতি অর্থবছরের পল্লীঋণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষিঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সুদ প্রয়োজ্য হবে। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত সুদ হারের অতিরিক্ত দশমিক ৫০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবেন। আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি তদন্তের প্রয়োজন হবে না। আম, লিচু ও পেয়ারা উৎপাদনে সারা বছর ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর জানান, ২০১৫-১৬অর্থবছরে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও বিতরণ করা হয় ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। আর এই ঋণ নিয়েছেন ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে ১৫ লাখ ২০ হাজার নারী ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফই লিংকেজের মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৪৮০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। ২৬ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
এছাড়া চর হাওরসহ অনগ্রসর এলাকার ৭ হাজার ৯৭২ জন কৃষক প্রায় ২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পেয়েছেন কৃষি ও পল্লীঋণ হিসেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম মিলনায়তনে কৃষি ও পল্লীঋণ কার্যক্রম ও নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগন উপস্থিত ছিলেন।