বগুড়া কারাগারে অসুস্থ বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার জেল সুপার ফারুক আহমেদ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে র্যাব-১৪ এর একটি দল রিপুকে গ্রেপ্তার করে। পর দিন সদর থানার দুটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়ার আদালতে হাজির করলে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি ওই সময় নিশ্চিত করেছিলেন বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
অসুস্থতার বিষয়ে বগুড়ার জেল সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “তিনি কারাগারে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এরপর তাকে কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এ ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৯ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ হস্তান্তর ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঢাকায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রিপু। চলতি বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে জয় পেয়ে তিনি সংসদ সদস্য হন। এছাড়া তিনি ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে বগুড়া-৬ আসন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরকে ছেড়ে দেওয়া হলে নৌকার প্রার্থী রিপু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই অগ্নিসংযোগ করা হয় রিপুর বাড়ি ও গাড়িতে। সেদিনের পর থেকেই তার প্রাসাদসম বাড়িতে ঝুলছে তালা, পরিবারসহ আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। রিপুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।