অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে আসাটা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল।
তিনি বলেন, সাহিত্যাঙ্গণে কবি নজরুলের যে ব্যাপক প্রভাব ও বিস্তার ছিল, তা অনুভব করতে পেরেই বঙ্গবন্ধু তাঁকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা, নজরুল পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আজ জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নজরুল ইনস্টিটিউট।
এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমিরিটাস রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, কবি নাতনী খিলখিল কাজী, নজরুল গবেষক ও ইনস্টিটিউটের সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কাইয়ুম, অনুবাদক ও গবেষক সাজেদ কামাল এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার।
অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তৃতা ও ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন।
এ বছর নজরুলসঙ্গীত ও নজরুল গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দু’জন গুণীব্যক্তি ‘নজরুল পুরস্কার-২০১৫’ পেয়েছেন। তারা হলেন- সঙ্গীতে শিল্পী শাহ সাদিয়া আফরিন মল্লিক ও গবেষণায় অধ্যাপক আবু হেনা আবদুল আউয়াল। প্রধান অতিথি প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, এক লাখ টাকা সমমূল্যের চেক ও সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, নজরুলের সৃজনশীল জীবন মাত্র ২২ বছরের। এ ২২ বছরে তিনি যে কর্মযজ্ঞ ও জ্ঞান রেখে গেছেন, তা অনন্য।
তিনি বলেন, তাঁর সৃষ্টিতে ভারতীয় মিথলজি ও বিশ্বসাহিত্যের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা পাঠ করলে আমাদের স্তব্ধ হতে হয়। আমরা যদি তা আত্মস্থ করতে পারি তাহলে আমাদের মানসপট পরিশুদ্ধ ও পরিশিীলিত হবে।
মুহিত বলেন, তার সাম্যের ভাবনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা আজও সমকালীন। তাঁর সাহিত্যকর্ম আত্মস্থ করতে পারলে আমাদের অনেক সংকটও কেঁেট যাবে।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল আমাদের জাতীয় কবি। তাঁর কোন গান বা রচনা বিকৃত করা যাবে না। যদি কেউ এমনটি করেন, তাহলে নজরুল ইনস্টিটিউট তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, নজরুলের গানের সুর দেয়ার আইনগত অধিকার ইনস্টিটিউট ছাড়া কারো নেই। এমনকি কপিরাইট আইন অনুযায়ী নজরুলের মৃত্যুর ৫০ বছর পরেও এ অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি বা হবে না।
ট্রাস্টি চেয়ারম্যার বলেন, নজরুলের গান নিজে সুর করার নাম করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ আত্মসাত করার অধিকারও কারো নেই। যারা এ কাজটি করেছেন, তাদের আমরা চিনি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।
অনুভূতি প্রকাশ করে সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, কবি নজরুল বিরাট মাপের সাধক ছিলেন। আজকের এ পুরস্কার সাধকের আর্শিবাদ হিসেবেই তিনি গ্রহণ করেছেন বলে জানান।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুলসঙ্গীত শিল্পীরা গান ও আবৃত্তিকাররা কবিতা আবৃত্তি করেন।
তিনি বলেন, সাহিত্যাঙ্গণে কবি নজরুলের যে ব্যাপক প্রভাব ও বিস্তার ছিল, তা অনুভব করতে পেরেই বঙ্গবন্ধু তাঁকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা, নজরুল পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আজ জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নজরুল ইনস্টিটিউট।
এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমিরিটাস রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, কবি নাতনী খিলখিল কাজী, নজরুল গবেষক ও ইনস্টিটিউটের সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কাইয়ুম, অনুবাদক ও গবেষক সাজেদ কামাল এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার।
অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তৃতা ও ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন।
এ বছর নজরুলসঙ্গীত ও নজরুল গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দু’জন গুণীব্যক্তি ‘নজরুল পুরস্কার-২০১৫’ পেয়েছেন। তারা হলেন- সঙ্গীতে শিল্পী শাহ সাদিয়া আফরিন মল্লিক ও গবেষণায় অধ্যাপক আবু হেনা আবদুল আউয়াল। প্রধান অতিথি প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, এক লাখ টাকা সমমূল্যের চেক ও সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, নজরুলের সৃজনশীল জীবন মাত্র ২২ বছরের। এ ২২ বছরে তিনি যে কর্মযজ্ঞ ও জ্ঞান রেখে গেছেন, তা অনন্য।
তিনি বলেন, তাঁর সৃষ্টিতে ভারতীয় মিথলজি ও বিশ্বসাহিত্যের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা পাঠ করলে আমাদের স্তব্ধ হতে হয়। আমরা যদি তা আত্মস্থ করতে পারি তাহলে আমাদের মানসপট পরিশুদ্ধ ও পরিশিীলিত হবে।
মুহিত বলেন, তার সাম্যের ভাবনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা আজও সমকালীন। তাঁর সাহিত্যকর্ম আত্মস্থ করতে পারলে আমাদের অনেক সংকটও কেঁেট যাবে।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল আমাদের জাতীয় কবি। তাঁর কোন গান বা রচনা বিকৃত করা যাবে না। যদি কেউ এমনটি করেন, তাহলে নজরুল ইনস্টিটিউট তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, নজরুলের গানের সুর দেয়ার আইনগত অধিকার ইনস্টিটিউট ছাড়া কারো নেই। এমনকি কপিরাইট আইন অনুযায়ী নজরুলের মৃত্যুর ৫০ বছর পরেও এ অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি বা হবে না।
ট্রাস্টি চেয়ারম্যার বলেন, নজরুলের গান নিজে সুর করার নাম করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ আত্মসাত করার অধিকারও কারো নেই। যারা এ কাজটি করেছেন, তাদের আমরা চিনি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।
অনুভূতি প্রকাশ করে সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, কবি নজরুল বিরাট মাপের সাধক ছিলেন। আজকের এ পুরস্কার সাধকের আর্শিবাদ হিসেবেই তিনি গ্রহণ করেছেন বলে জানান।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুলসঙ্গীত শিল্পীরা গান ও আবৃত্তিকাররা কবিতা আবৃত্তি করেন।