ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেকারণে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছিলেন শামীম ওসমান

তোলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় কলেজকে সরকারি করার দাবিতে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় রওশন আরা কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কলেজকে সরকারি করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের তখন মিলিটারিরা মেরে পিঠ ফাটাইয়া দিল। কিন্তু আমরা ব্যথা পাইনি। কেননা এ বয়সে কেউ ব্যথা পায় না। এ বয়সটা হচ্ছে যুদ্ধে


যাওয়ার বয়স। মানুষ বলে, যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। এখন যৌবন যার, মিছিলে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার।

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, জীবনটা এখন যা দেখছ-এমন নয়। সংঘর্ষ আছে সামনে। তোমাকে জিততে হবে। পৃথিবীকে বলতে হবে, পৃথিবী সাবধান। বাংলাদেশের ইয়ং জেনারেশন ঘুম থেকে উঠেছে। আমরা আসছি, আমরা আমাদের সর্বোন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবো।

তিনি বলেন,  মা-বাবাকে কষ্ট দিওনা। তোমরা মজা করো, হ্যাপি থাক। কিন্তু একটা কথা মনে রাইখো, মা-বাবার দোয়া ও মুরব্বীদের দোয়া মাথার উপর রাইখো। তবে দেখবা সামনের কোনো চ্যালেঞ্জ তোমাদের আটকাতে পারবে না। তোমরা যদি চাও, তাহলে তোমরা সবকিছু জয় করতে পার। তোমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, এই চ্যালেঞ্জ তোমাদের মোকাবেলা করতে হবে। জয়যুক্ত হতে হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, থানা যুবলীগর আহ্বায়ক ও নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি ওমর ফারুক প্রমুখ।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যেকারণে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছিলেন শামীম ওসমান

আপডেট টাইম : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

তোলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় কলেজকে সরকারি করার দাবিতে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিয়েছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় রওশন আরা কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কলেজকে সরকারি করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের তখন মিলিটারিরা মেরে পিঠ ফাটাইয়া দিল। কিন্তু আমরা ব্যথা পাইনি। কেননা এ বয়সে কেউ ব্যথা পায় না। এ বয়সটা হচ্ছে যুদ্ধে


যাওয়ার বয়স। মানুষ বলে, যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। এখন যৌবন যার, মিছিলে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার।

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, জীবনটা এখন যা দেখছ-এমন নয়। সংঘর্ষ আছে সামনে। তোমাকে জিততে হবে। পৃথিবীকে বলতে হবে, পৃথিবী সাবধান। বাংলাদেশের ইয়ং জেনারেশন ঘুম থেকে উঠেছে। আমরা আসছি, আমরা আমাদের সর্বোন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবো।

তিনি বলেন,  মা-বাবাকে কষ্ট দিওনা। তোমরা মজা করো, হ্যাপি থাক। কিন্তু একটা কথা মনে রাইখো, মা-বাবার দোয়া ও মুরব্বীদের দোয়া মাথার উপর রাইখো। তবে দেখবা সামনের কোনো চ্যালেঞ্জ তোমাদের আটকাতে পারবে না। তোমরা যদি চাও, তাহলে তোমরা সবকিছু জয় করতে পার। তোমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, এই চ্যালেঞ্জ তোমাদের মোকাবেলা করতে হবে। জয়যুক্ত হতে হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, থানা যুবলীগর আহ্বায়ক ও নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি ওমর ফারুক প্রমুখ।