ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীনগরে ধানের পাশাপাশি খিরা চাষে ঝুকছে কৃষক

অল্প খরচে কম সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি রাণীনগরে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা বোরো ধান চাষের খরচ যোগাতে খিরা চাষে ঝুকে পড়ছে কৃষক। বাজার মূল্য ভাল এবং চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেতের জমিতেই পাইকারি দরে চাষিরা খিরা বিক্রি করতে পারাই বেশ লাভবান হচ্ছে। আবহাওয়া অনূকূলে ও রোগবালাই কম হওয়ায় খিরার আবাদ গত বছরের তুলনায় ভাল হওয়ায় বোরো ধান কিছুটা কমিয়ে খিরা চাষ করছে কৃষকরা। জানা গেছে, উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল এলাকায় গত বছর শীতের সময় বোরো মৌসুমে বেশ কিছু চাষিরা তাদের ফসলী জমিতে বোরো ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে অধিক লাভের আশায় খিরা চাষ করে যাচ্ছি। ভাল লাভ হওয়ায় এলাকার কয়েকটি ইউনিয়নে এবছর প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করেছে। উপজেলার কুজাইল, কাশিমপুর, ভবানীপুর, ডাঙ্গাপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকার মাঠে এখন সবুজ রঙের খিরা ক্ষেত। কৃষকরা স্থানীয় হাট বাজার থেকে খিরার বীজ কিনে জমিতে বপন করার পর থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, খিরা ক্ষেতের নির্বির পরিচর্চা ও স্থাণীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রায়োগে রোগবালাই কম হওয়ায় এবছর খিরার ভাল ফলন হয়েছে। উপজেলার কুজাইল গ্রামের রকিব উদ্দিন জানান, বোরো ধানের পাশাপাশি ৫ বিঘা জমিতে খিরার আবাদ করেছে। ফলন ভাল ও চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি মন খিরা জমি থেকেই ৮ শ’ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আশা করছেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে জমিতে খিরা তোলা শেষ করে আগাম জাতের আউশ ধানের চাষ করবেন। খিরার ফলন ভাল হওয়ায় এবছর লাভও ভাল হবে বলে আশা করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, রাণীনগর উপজেলায় কৃষকরা ধান চাষে বেশি আগ্রহী। কিন্তু কাটা মাড়াই মৌসুমে চাষিরা নায্য মূল্য না পাওয়ায় দিনদিন ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করছে। এবছর উপজেলার কৃষকরা কম বেশি উঁচু জমিতে খিরার আবাদ করেছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় খিরার ভাল ফলন হয়েছে। অল্প খরচে ভাল লাভ হওয়ার কারণে উপজেলার কৃষকরা খিরা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাণীনগরে ধানের পাশাপাশি খিরা চাষে ঝুকছে কৃষক

আপডেট টাইম : ০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭

অল্প খরচে কম সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি রাণীনগরে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা বোরো ধান চাষের খরচ যোগাতে খিরা চাষে ঝুকে পড়ছে কৃষক। বাজার মূল্য ভাল এবং চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেতের জমিতেই পাইকারি দরে চাষিরা খিরা বিক্রি করতে পারাই বেশ লাভবান হচ্ছে। আবহাওয়া অনূকূলে ও রোগবালাই কম হওয়ায় খিরার আবাদ গত বছরের তুলনায় ভাল হওয়ায় বোরো ধান কিছুটা কমিয়ে খিরা চাষ করছে কৃষকরা। জানা গেছে, উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল এলাকায় গত বছর শীতের সময় বোরো মৌসুমে বেশ কিছু চাষিরা তাদের ফসলী জমিতে বোরো ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে অধিক লাভের আশায় খিরা চাষ করে যাচ্ছি। ভাল লাভ হওয়ায় এলাকার কয়েকটি ইউনিয়নে এবছর প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করেছে। উপজেলার কুজাইল, কাশিমপুর, ভবানীপুর, ডাঙ্গাপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকার মাঠে এখন সবুজ রঙের খিরা ক্ষেত। কৃষকরা স্থানীয় হাট বাজার থেকে খিরার বীজ কিনে জমিতে বপন করার পর থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, খিরা ক্ষেতের নির্বির পরিচর্চা ও স্থাণীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রায়োগে রোগবালাই কম হওয়ায় এবছর খিরার ভাল ফলন হয়েছে। উপজেলার কুজাইল গ্রামের রকিব উদ্দিন জানান, বোরো ধানের পাশাপাশি ৫ বিঘা জমিতে খিরার আবাদ করেছে। ফলন ভাল ও চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি মন খিরা জমি থেকেই ৮ শ’ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আশা করছেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে জমিতে খিরা তোলা শেষ করে আগাম জাতের আউশ ধানের চাষ করবেন। খিরার ফলন ভাল হওয়ায় এবছর লাভও ভাল হবে বলে আশা করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, রাণীনগর উপজেলায় কৃষকরা ধান চাষে বেশি আগ্রহী। কিন্তু কাটা মাড়াই মৌসুমে চাষিরা নায্য মূল্য না পাওয়ায় দিনদিন ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করছে। এবছর উপজেলার কৃষকরা কম বেশি উঁচু জমিতে খিরার আবাদ করেছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় খিরার ভাল ফলন হয়েছে। অল্প খরচে ভাল লাভ হওয়ার কারণে উপজেলার কৃষকরা খিরা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।