ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? যা বললেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বনেতাদের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বকে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সামাজিক বৈষম্য, মানবিক অসমতা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসস’র

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে এক ভোজসভায় ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ ভোজসভার আয়োজন করেন।

বৈশ্বিক সন্ত্রাস প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয়, এটি মানব সভ্যতার জন্যও একটি অভিশাপ। তিনি গোটা মানবজাতির স্বার্থে এর নির্মূলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশ করেছেন।

দেশের চমৎকার উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত ৮ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পরিণত করতে সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছে।

প্রতিটি দেশের সংসদ সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেদের দেশে এবং অন্য দেশগুলোতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অসমতা দূরীকরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

ভোজসভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ, আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুনগং, অটিজম সংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, ডেপুটি স্পিকার ও আইপিইউ সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, হুইপ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বনেতাদের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আপডেট টাইম : ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বকে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সামাজিক বৈষম্য, মানবিক অসমতা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসস’র

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে এক ভোজসভায় ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ ভোজসভার আয়োজন করেন।

বৈশ্বিক সন্ত্রাস প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয়, এটি মানব সভ্যতার জন্যও একটি অভিশাপ। তিনি গোটা মানবজাতির স্বার্থে এর নির্মূলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশ করেছেন।

দেশের চমৎকার উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত ৮ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পরিণত করতে সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছে।

প্রতিটি দেশের সংসদ সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেদের দেশে এবং অন্য দেশগুলোতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অসমতা দূরীকরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

ভোজসভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ, আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুনগং, অটিজম সংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, ডেপুটি স্পিকার ও আইপিইউ সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, হুইপ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন।