দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রকার ভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হিলি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দেড় সপ্তাহ ধরে যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিলো ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে তা বর্তমান খুচরা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। রমজানের শুরুতে ভারত থেকে দেশের বাজারে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার খবরে এসব দেশি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এছাড়াও দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধির কারণেও দাম কমে যাচ্ছে। চলতি রমজান মাসেও তুলনামূলক পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, এ বছর অন্যান্য রমজান মাসের চেয়েও পেঁয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। পেঁয়াজ রমজান মাসে অনেক দরকারি পণ্য। গত দুই সপ্তাহ আগেও ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ ৫০ টাকা কেজি হওয়ায় বেশি করে পেঁয়াজ কিনলাম।
বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। পেঁয়াজে তেমন লাভ হচ্ছে না। ৫০ টাকা পাইকারি কিনে তা ৫০ টাকা কেজি দরেই খুচরা বিক্রি করছি।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, বর্তমান কেজিপ্রতি পেঁয়াজে ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে। গত দুই দিন আগে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে মোকাম থেকে পেঁয়াজ পাইকারি কিনে আনছি। আজ সেই পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করছি। হঠাৎ মোকামে পেঁয়াজের আমদানি প্রচুর এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কমে গেছে। তবে যদি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয় তাহলে আরও দাম কমে যাবে।