ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলেও আগের অবস্থায় ফেরেনি নিত্যপণ্যের দাম

গত এক সপ্তাহের নানান ঘটনায় রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ অনেক কমে যায়। চাহিদা থাকলেও সরবরাহের ঘাটতিতে দাম ছিল আকাশচুম্বী। তবে গত দুই দিনে রাজধানীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বাজারের পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সবজি থেকে শুরু করে মুরগি, ডিম ও পাইকারি বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।

এতে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে ১০ দিন আগের অবস্থায় ফেরেনি দাম। চলতি সপ্তাহে বাজার স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, কারফিউ শিথিল হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে জনজীবনের পাশাপাশি সচল হচ্ছে যান চলাচল।

এতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানীর বাজারে পণ্য সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক। দেশে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ এখন অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পণ্যের দামে।

আগে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা পণ্যের দাম কিছুটা বেশি ছিল। সরবরাহ আরো বাড়লে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমে আসবে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে উদ্বেগ আছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পণ্যের মানভেদে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬৫, মিষ্টিকুমড়া ৩৫ থেকে ৫০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার দিন আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা চার দিন আগেও ছিল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা ৪৫ থেকে ৫৫, করলা ৭০ থেকে ৮০, গাজর ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। এ ছাড়া প্রতি পিস কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ এবং প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা রসুন কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল কেজি ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য মতে, রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। চাল, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ, ডিম, মুরগি, দুধসহ নানান ধরনের কৃষিজ পণ্য এসব ট্রাকে আনা হয়ে থাকে। গত দুই দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি ট্রাক প্রবেশ করছে। সামনের দিনগুলোতে পণ্য পরিবহন আরো বাড়তে পারে বলে আশা করছেন পরিবহন মালিকরা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কমলেও আগের অবস্থায় ফেরেনি নিত্যপণ্যের দাম

আপডেট টাইম : ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
গত এক সপ্তাহের নানান ঘটনায় রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ অনেক কমে যায়। চাহিদা থাকলেও সরবরাহের ঘাটতিতে দাম ছিল আকাশচুম্বী। তবে গত দুই দিনে রাজধানীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বাজারের পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সবজি থেকে শুরু করে মুরগি, ডিম ও পাইকারি বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।

এতে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে ১০ দিন আগের অবস্থায় ফেরেনি দাম। চলতি সপ্তাহে বাজার স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, কারফিউ শিথিল হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে জনজীবনের পাশাপাশি সচল হচ্ছে যান চলাচল।

এতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানীর বাজারে পণ্য সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক। দেশে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ এখন অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পণ্যের দামে।

আগে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা পণ্যের দাম কিছুটা বেশি ছিল। সরবরাহ আরো বাড়লে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমে আসবে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ে উদ্বেগ আছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পণ্যের মানভেদে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬৫, মিষ্টিকুমড়া ৩৫ থেকে ৫০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার দিন আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা চার দিন আগেও ছিল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা ৪৫ থেকে ৫৫, করলা ৭০ থেকে ৮০, গাজর ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। এ ছাড়া প্রতি পিস কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ এবং প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি করা রসুন কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল কেজি ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য মতে, রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। চাল, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ, ডিম, মুরগি, দুধসহ নানান ধরনের কৃষিজ পণ্য এসব ট্রাকে আনা হয়ে থাকে। গত দুই দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি ট্রাক প্রবেশ করছে। সামনের দিনগুলোতে পণ্য পরিবহন আরো বাড়তে পারে বলে আশা করছেন পরিবহন মালিকরা।