ঢাকা , বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল্যস্ফীতি কমেছে, মজুরি বেড়েছে

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে থাকলেও জুলাইয়ে হঠাৎ করে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠে যায়। সেখান থেকে গেল আগস্টে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে। অন্যদিকে আগস্টে শ্রমিকের গড় মজুরি সূচকও বেড়েছে, যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল ওয়েবসাইটে মাসওয়ারি হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস।

বিবিএসের তথ্য বলেছে, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ১৩ বছর ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এদিকে সাধারণ সূচকে আগস্টে শ্রমিক মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ছয় বছরের মধ্যে এই মজুরি হার সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি কৃষি খাতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। এর পরই সেবা খাতে মজুরির হার ছিল ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে গত আগস্টে এ খাতে মজুরি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে আগস্টে মজুরি সূচক হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মূল্যস্ফীতি কমেছে, মজুরি বেড়েছে

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে থাকলেও জুলাইয়ে হঠাৎ করে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠে যায়। সেখান থেকে গেল আগস্টে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে। অন্যদিকে আগস্টে শ্রমিকের গড় মজুরি সূচকও বেড়েছে, যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল ওয়েবসাইটে মাসওয়ারি হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস।

বিবিএসের তথ্য বলেছে, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ১৩ বছর ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এদিকে সাধারণ সূচকে আগস্টে শ্রমিক মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ছয় বছরের মধ্যে এই মজুরি হার সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি কৃষি খাতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। এর পরই সেবা খাতে মজুরির হার ছিল ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে গত আগস্টে এ খাতে মজুরি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে আগস্টে মজুরি সূচক হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।