বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ সপ্তাহে সবজির সরবরাহ কমেছে। তবে মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টিতে সারাদেশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেত-খামার। এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারেও। তবে হরেক রকমের মাছ পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। সবজির সরবরাহ কম থাকলেও বাজারে যে শাক রয়েছে, তা সতেজ। বৃষ্টির কারণে এসব শাক সতেজ রয়েছে বলে জানালেন সবজি বিক্রেতারা।
শুক্রবার সরেজমিন রাজধানীর কাপ্তানবাজার, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, সবজির সরবরাহ কম। বাজারে লালশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, কচুশাক, পুঁইশাক রয়েছে পর্যাপ্ত। দাম গত সপ্তাহের মতোই। পুঁইশাক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। লালশাক কেজি ৩০ টাকা,মুলাশাক ২০ টাকা কেজি। কচুশাকের একেক আঁটি ১৫ টাকা। কলমিশাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাপ্তান বাজারে কথা হয়, নাজনীন আক্তার নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরো সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির পানির জন্য বাজারে আসা হয়নি। ছুটির দিন বলে বাজারে আসলাম। তবে মনে হচ্ছে, আজকে তাজা সবজি পেলাম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন বৃষ্টিতে সবজির রঙ সতেজ থাকে। আজ শাক কিনলাম তিন আইটেমের।
এদিকে, সবজির উপস্থিতি কম। তবে দাম বাড়েনি তেমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের। করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ঢেঁড়সের কেজি ৪০ টাকা। পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা,বরবটি ৪০ টাকা,সিম ৯০ থেকে ১০০ টাকা,টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা ও আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাপ্তানবাজারের সবজি ব্যবসায়ী সজিব বলেন, কাঁচামালের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তবে পাইকারদের কাছে মাল কম। বৃষ্টির কারণে মালের স্বল্পতা।
বাজারে রয়েছে হরেক রকমের মাছ। এর মধ্যে পুঁটি, টেংরা, চাঁন্দা, বেলে, শিং, দেশি কই, মলামাছ বেশি দেখা গেছে। এর দামও তুলনামূলকভাবে কম। বাজারে শিংমাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, ছোট ইলিশ পিস ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা,পাঙ্গাশ ১৪০ টাকা,বোয়ালমাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।