ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টির প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া: সবজি, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। সবজি, পেঁয়াজ, আদা, মুরগিসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেশি। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে টানা বৃষ্টি হয়। এর আগেও কয়েক দিন ধরে চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় ছেদ পড়ে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে জমি ও গুদামে নষ্ট হয়ে গেছে সবজিসহ অন্যান্য পণ্য। এতে রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে টান পড়ে। এর ফলেই পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

টানা বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয় সবজির। ফলে এর দামেও তার প্রভাব অন্য পণ্যের চেয়ে বেশি পড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশি টমেটো ১০০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৫৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া আলুর দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ-রসুনের মতো শুকনা পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দরে। একই হারে বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাস খানেক আগে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার পরে গত সপ্তাহে কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফের দাম বাড়লো। গতকাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি ৩৭০ থেকে ৭০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি বেড়ে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫১০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা এবং প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। গতকাল বাজারে কেজি প্রতি ছোলা ৮৫ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ টাকা, এলাচ ১৬০০ টাকা, চীনের আদা ১২০ টাকা এবং কেরালা আদা ১৪০ টাকা, হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের দাম গত দুই সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা, প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, পারিজা চাল ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৪ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরনো) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃষ্টির প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া: সবজি, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। সবজি, পেঁয়াজ, আদা, মুরগিসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেশি। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে টানা বৃষ্টি হয়। এর আগেও কয়েক দিন ধরে চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় ছেদ পড়ে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে জমি ও গুদামে নষ্ট হয়ে গেছে সবজিসহ অন্যান্য পণ্য। এতে রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে টান পড়ে। এর ফলেই পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

টানা বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয় সবজির। ফলে এর দামেও তার প্রভাব অন্য পণ্যের চেয়ে বেশি পড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশি টমেটো ১০০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৫৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া আলুর দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ-রসুনের মতো শুকনা পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা দরে। একই হারে বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাস খানেক আগে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার পরে গত সপ্তাহে কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফের দাম বাড়লো। গতকাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি ৩৭০ থেকে ৭০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি বেড়ে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫১০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা এবং প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। গতকাল বাজারে কেজি প্রতি ছোলা ৮৫ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ টাকা, এলাচ ১৬০০ টাকা, চীনের আদা ১২০ টাকা এবং কেরালা আদা ১৪০ টাকা, হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের দাম গত দুই সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা, প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, পারিজা চাল ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৪ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরনো) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।