ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীতে চাকরি হবে ১০ লাখ মানুষের

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলায় ১২০ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁত ও তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্ট ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় এটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেরই এই বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জসীম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম ও বিধি অনুযায়ী ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের কাজ এগিয়ে চলছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেই বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার নয়’শ ১১ কোটি টাকা।’

তিনি জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে তাঁত শিল্প এবং তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, রাস্তা, খেলার মাঠ, পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য ও যুগ্ম-সচিব নিমাই চন্দ্র পাল বলেন, ‘বৃহৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাঁত শিল্পের জন্য নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তাঁত বোর্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক প্রণয়ন-কৃত প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বছরে ৬৮ কোটি মিটার (বিবিএস) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ কোটি মিটারে উন্নীত হবে। ফলে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্রে দেশের বর্তমান অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ ৪০ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এছাড়া, তাঁত বস্ত্রের রপ্তানিতে বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

তাঁত বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত বস্ত্রের মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বছরে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীতে চাকরি হবে ১০ লাখ মানুষের

আপডেট টাইম : ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলায় ১২০ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁত ও তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্ট ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় এটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেরই এই বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জসীম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম ও বিধি অনুযায়ী ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের কাজ এগিয়ে চলছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেই বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার নয়’শ ১১ কোটি টাকা।’

তিনি জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে তাঁত শিল্প এবং তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, রাস্তা, খেলার মাঠ, পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য ও যুগ্ম-সচিব নিমাই চন্দ্র পাল বলেন, ‘বৃহৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাঁত শিল্পের জন্য নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তাঁত বোর্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক প্রণয়ন-কৃত প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বছরে ৬৮ কোটি মিটার (বিবিএস) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ কোটি মিটারে উন্নীত হবে। ফলে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্রে দেশের বর্তমান অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ ৪০ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এছাড়া, তাঁত বস্ত্রের রপ্তানিতে বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

তাঁত বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত বস্ত্রের মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বছরে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।