বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কুষ্টিয়ার রশিদ অটোমেটিক রাইস মিলকে ১ লাখ টন সেদ্ধ চাল আমদানি করে দেওয়ার কাজ দিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে গতকাল (২৪ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
জানা গেছে, রশিদ অটোমেটিক রাইস মিল ১ লাখ টন আমদানি করবে ভারত থেকে। ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান পিইসির সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ৫ লাখ টন চাল কিনতে চাইলেও ভারতের প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ টন চাল বিক্রি করতে রাজি হয়। চালের সরকারি মজুত খুবই কম থাকায় চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ টন চাল এবং ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দরপত্রে অংশ নিয়েই রশিদ অটোমেটিক রাইস সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে। তিনটি প্যাকেজে এ চাল কেনায় সরকারের খরচ হবে ৪২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এ ছাড়া ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয় বৈঠকে। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াও কয়েকটি দেশ থেকে সরকারিভাবে ধাপে ধাপে জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ তেল আমদানিতে খরচ করবে ২৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। মোট জ্বালানি তেলের মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ ৯০ হাজার টন গ্যাস অয়েল। এ ছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টন জেট এ-ওয়ান ও ২ লাখ ৬০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল।
কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, ফিলিপাইনের পেনক এক্সপ্লোরেশন করপোরেশন, ভিয়েতনামের পেট্রোলিমেক্স, আরব আমিরাতের এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এনক), চীনের পেট্রোচায়না ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক এবং থাইল্যান্ডের পিটিটিটি কোম্পানি থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
এছাড়া ১ লাখ টন করে মোট ২ লাখ টন টিএসপি সার ও ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে বৈঠকে। ইউরিয়া সারের মধ্যে কিছু অংশ সরবরাহ করবে পোটন ট্রেডার্স, আর কিছু অংশ সরবরাহ করবে মেসার্স হাউড্রো কার্বন।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গ্রুপ ক্রিমিকিউ তিউনিশিয়া ও বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে প্রথম লটে আমদানি হবে ২৫ হাজার টন টিএসপি সার। প্রতি টন ২৯০ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আর দ্বিতীয় লটে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রতি টন ২৫০ ডলার হিসাবে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫২ কোটি টাকা। মরক্কোর ওসিপি ও বিএডিসির মধ্যে চুক্তির আওতায় প্রথম লটের ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি হবে। প্রতি টন ৩০৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার হিসাবে এতে খরচ ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৭ লাখ টাকা।