ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আগামী অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৫৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগামী বছরে কোনো খাতের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ২১তম অধিবেশন আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট প্রস্তাবনায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মন্ত্রী কৃষি উন্নয়ন সম্পর্কে জানান, আবাদযোগ্য জমি ক্রমশ কমতে থাকা সত্ত্বেও আমাদের কৃষিবান্ধব নীতিকৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণের ফলে কৃষিখাতের উৎপাদন বহুলাংশে বেড়েছে। কৃষি ভর্তুকি, সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, সেচ সুবিধা ও খামার যান্ত্রিকীকরণ, শস্য বহুমুখীকরণ ও বিপণন, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা ইত্যাদি সফল কার্যক্রমসমূহ আমরা প্রয়োজনীয় মাত্রায় অব্যাহত রাখবো।

তবে, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে দক্ষতা আরো বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ আর্থিক সহায়তা সরাসরি কৃষকের নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো জানান, কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমানে আমরা পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী কার্যক্রমের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং হস্তান্তরের কাজ চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণতার প্রভাব মোকাবেলার জন্য শস্যনিবিড়তা বৃদ্ধিসহ স্বল্প-জীবনকাল-সম্পন্ন (short duration) ফসল উৎপাদনের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

খরা-লবণাক্ততা-তাপ-সহিষ্ণু ধান, তাপ-সহিষ্ণু গম এর জাত উদ্ভাবন এবং তা জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী অর্থবছরে ফসলের ২২টি নতুন জাত ও ২১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরী ফসল পাটের বিভিন্ন প্রতিকূলতা-সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন এবং বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।

ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও সুষম সার ব্যবহারের মাধ্যমে জমির স্বাস্থ্য রক্ষা ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সারের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য সার পরীক্ষাগার ও গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘ আলোচনা শেষে যা আগামী ২৮ জুন পাশ হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

আপডেট টাইম : ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮

বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আগামী অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৫৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগামী বছরে কোনো খাতের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ২১তম অধিবেশন আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট প্রস্তাবনায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মন্ত্রী কৃষি উন্নয়ন সম্পর্কে জানান, আবাদযোগ্য জমি ক্রমশ কমতে থাকা সত্ত্বেও আমাদের কৃষিবান্ধব নীতিকৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণের ফলে কৃষিখাতের উৎপাদন বহুলাংশে বেড়েছে। কৃষি ভর্তুকি, সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, সেচ সুবিধা ও খামার যান্ত্রিকীকরণ, শস্য বহুমুখীকরণ ও বিপণন, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা ইত্যাদি সফল কার্যক্রমসমূহ আমরা প্রয়োজনীয় মাত্রায় অব্যাহত রাখবো।

তবে, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে দক্ষতা আরো বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ আর্থিক সহায়তা সরাসরি কৃষকের নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো জানান, কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমানে আমরা পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী কার্যক্রমের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং হস্তান্তরের কাজ চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণতার প্রভাব মোকাবেলার জন্য শস্যনিবিড়তা বৃদ্ধিসহ স্বল্প-জীবনকাল-সম্পন্ন (short duration) ফসল উৎপাদনের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

খরা-লবণাক্ততা-তাপ-সহিষ্ণু ধান, তাপ-সহিষ্ণু গম এর জাত উদ্ভাবন এবং তা জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী অর্থবছরে ফসলের ২২টি নতুন জাত ও ২১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরী ফসল পাটের বিভিন্ন প্রতিকূলতা-সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন এবং বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।

ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও সুষম সার ব্যবহারের মাধ্যমে জমির স্বাস্থ্য রক্ষা ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সারের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য সার পরীক্ষাগার ও গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘ আলোচনা শেষে যা আগামী ২৮ জুন পাশ হবে।